‘কাড়ি’ পাতার নাম করে চলছিল গাঁজার চোরাচালান ! দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই মাদক সরবরাহ চলত অ্যামাজনের মাধ্যমে ৷ সম্প্রতি মধ্য প্রদেশে গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যই জানতে পারে পুলিশ ৷ আর তারপর থেকেই নড়েচড়ে বসে মধ্যপ্রদেশ সরকার ৷ ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজনের উদ্দেশে কড়া বার্তা আগেই পাঠিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ সরকার ৷ হুশিয়ারিতে কাজ না হওয়ায় এবার পদক্ষেপ করতে বাধ্য হলেন তারা ৷
advertisement
আরও পড়ুন- ব্যবসা বিস্তার করছে জোম্যাটো, গ্রোফার্স-এ ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা!
অ্যামাজনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও-কে এর আগে সতর্ক করে মধ্যপ্রদেশের সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই মামলায় সহযোগিতা না করলে তার ফল ভুগতে হবে সংস্থার আধিকারিকদের ৷ প্রয়োজনে তাদের গ্রেফতার করাও হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন সে রাজ্যের মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র ৷
গত রবিবার (১৪ নভেম্বর) ভিন্ড (Bhind) জেলার একটি রাস্তার ধারের খাবারের দোকান থেকে ২০ কেজি গাঁজা-সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ । এরপর, জিজ্ঞাসাবাদের সময়, অভিযুক্তরা যা বলে, তাতে হতবাক হয়ে গিয়েছিল পুলিশ। তাদের বয়ান অনুযায়ী, অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে মধ্যপ্রদেশে গাঁজা পাচার করতে অ্যামাজন ইন্ডিয়ার অ্যাপ ব্যবহার করা হয়েছিল।
ডিজিটাল দুনিয়ায় আমরা প্রায় সকলেই হয়ে পড়ছি অ্যাপের ওপর নির্ভরশীল। পোশাক থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বাড়িতে বসেই মিলছে। এবার নাকি বাড়ির দোরগোড়ায় পাওয়া যাচ্ছে গাঁজাও। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট অ্যামাজনের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন- শীঘ্রই UAN এর সঙ্গে লিঙ্ক করিয়ে নিন Aadhaar, না হলে হতে পারে বড় লোকসান
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৪ নভেম্বর সেন্ট্রাল মধ্যপ্রদেশ থেকে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পরেই জানা যায় অনলাইন সাইটের মাধ্যমে গাঁজা ডেলিভারি করা হয়েছে ৷ প্রশ্ন ওঠে ই-কমার্স সাইটে কীভাবে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ মাদক? এরপরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ।