কারা বেকারভাতার যোগ্য -
যদি কোনও সংকটের কারণে কারখানা বন্ধ হয়ে যায় এবং সেই কোম্পানি থেকে কর্মচারীদের ছাঁটাই করা হয়, তখন তাঁরা বেকারভাতার যোগ্য। এক্ষেত্রে তাঁদের দৈনিক আয়ের ৫০ শতাংশ বেকারভাতা হিসাবে প্রদান করা হয়।। এছাড়াও এই সকল নাগরিকদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন রাজ্যে বেকারভাতার আলাদা আলাদা স্কিম রয়েছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যের সরকার শিক্ষিত বেকারদের এই ভাতার মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য করে থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন : করোনা না ডেঙ্গু! জ্বর, ঠান্ডা লাগা, শরীরে ব্যথার মতো সাধারণ লক্ষণগুলো আলাদা করবেন কীভাবে?
উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের বেকারভাতা যোজনা -
উত্তরপ্রদেশের বেকারদের জন্য সেই রাজ্যের সরকার এমন যোজনা নিয়ে এসেছে, যেখানে ১০০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য করা হয়। এই যোজনার সাহায্য শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দারা নিতে পারবেন। এই যোজনার মুখ্য উদ্দেশ্য হল উত্তরপ্রদেশের বেকারদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।
এই যোজনার শর্ত অনুযায়ী সেই সকল ছাত্ররাও এর সুবিধা নিতে পারবেন, যাঁরা তাঁদের পড়াশুনা সম্পূর্ণ করেও কোনও চাকরি পাননি। এই বেকারভাতার সাহায্য পাওয়ার জন্য আবেদনকারীর বয়স ২১ বছর থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। এছাড়াও তাঁদের পরিবারের মোট আয় বার্ষিক ৩ লাখ টাকার কম হতে হবে।
উত্তরপ্রদেশ ছাড়া বিহারেও এই ধরনের বেকারভাতা চালু করা হয়েছে। বিহারে এই বেকারভাতার সুবিধা পাওয়ার প্রধান শর্ত হল আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় ৩ লাখ টাকার কম হতে হবে। আবেদনকারীর বয়স ২১ বছর থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
বেকারভাতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ শর্ত -
বিভিন্ন রাজ্যে বেকারভাতার জন্য বিভিন্ন নিয়ম চালু করা হয়েছে। সেই সকল রাজ্যের ওয়েবসাইটে গিয়েই বেকারভাতা সম্পর্কিত শর্ত জেনে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই বেকারভাতা পাওয়ার শর্তের মধ্যে বেশ কিছু মিল রয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই সকল সাধারণ নিয়ম।
- আবেদনকারীদের সেই রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
- আবেদনকারীর বয়স ২১ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় ৩ লাখ টাকার মধ্যে হতে হবে।
- আবেদনকারী কোনও প্রকার চাকরির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না।