এই তহবিল পরিচালনা করে ইপিএফও। কোনও সংস্থায় কমপক্ষে ২০ জন কর্মী থাকলে তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
প্রতি মাসে একজন কর্মচারীকে অবশ্যই তাঁর মৌলিক এবং মহার্ঘ্য ভাতার ১২ শতাংশ ইপিএফে অবদান রাখতে হয়। একই পরিমাণ অবদান রাখেন সংস্থাও। অবসরের সময় সেই টাকা পান কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন- কিছু নিজের হাতে বানাতে হবে না, এভাবেই মহিলারা ঘরে আনতে পারেন লাখ লাখ টাকা!
advertisement
ইপিএফ পরিচালনা করে ভারত সরকার। নিশ্চিত রিটার্ন পাওয়া যায়। তাই সবচেয়ে পছন্দের অবসরকালীন সঞ্চয় স্কিমগুলির মধ্যে এটি একটি।
উদাহরণ সহ পিপিএফ-এর পরিমাণ গণনার সূত্র: ইপিএফ-এ অবদান সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী হওয়া দরকার। একটি কোম্পানিতে প্রত্যেক কর্মচারীর ভবিষ্যত তহবিলে দুই ধরনের অবদান থাকে। কর্মচারী এবং নিয়োগকর্তা উভয়ের অবদানই গুরুত্বপূর্ণ।
ইপিএফ-এ কর্মচারীর অবদান: প্রতি মাসে, কর্মচারী তাঁর মূল বেতন এবং মহার্ঘ্য ভাতার ১২ শতাংশ ইপিএফ অ্যাকাউন্টে অবদান রাখেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি মূল মাসিক আয় ২০,০০০ টাকা হয় (ধরে নেওয়া হচ্ছে যে কোনও মহার্ঘ্য ভাতা নেই), কর্মচারী অবদান ২০,০০০ এর ১২ শতাংশ বা ২৪০০ টাকা হবে।
ইপিএফে নিয়োগকর্তার অবদান: নিয়োগকর্তা কর্মচারী পেনশন স্কিমে ১২ শতাংশের ৮.৩৩ শতাংশ অবদান রাখবেন বলে আশা করা হয়। বাকি ৩.৬৭ শতাংশ ইপিএফ-এ যাবে৷ অর্থাৎ, নিয়োগকর্তা, ইপিএফ-এ ২০,০০০ টাকার ৩.৬৭ শতাংশ অবদান রাখেন। নিয়োগকর্তা এবং কর্মচারীর মিলিয়ে মোট অবদান হচ্ছে ৩১৩৪ টাকা।
আরও পড়ুন- গয়না তো কেনেন সবাই, তবে সোনায় এভাবে বিনিয়োগ করলেই কিন্তু টাকা বাড়ে, জানেন তো
সুদের হার: বর্তমানে ইপিএফ-এ সুদের হার ৮.১ শতাংশ। ইপিএফ স্কিমের প্রতি বছর সুদের হার ঠিক করে ইপিএফও। অর্থ মন্ত্রক বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে সুদের হারের পরিবর্তন পর্যালোচনা করে।
তবে সুদ প্রতি বছর নয়, মাসের শেষে গণনা করা হয়। এবং আর্থিক বছর শেষ হওয়ার পর তা ইপিএফ অ্যাকাউন্টে যোগ হয়। প্রথম মাসে কোনও সুদ পাওয়া যায় না। সুদ যোগ হয় দ্বিতীয় মাস থেকে।