পিএফ অ্যাকাউন্টে, কর্মী এবং নিয়োগকর্তার জমা করা অর্থের সঙ্গে, সুদের তথ্যও থাকে। সরকার ইপিএফ অ্যাকাউন্টে সুদ দেয়। ইপিএফ অ্যাকাউন্ট এবং ব্যালান্স ট্র্যাক করার জন্য পাসবুক হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি। এটা দেখেই বোঝা যায় কর্মী এবং নিয়োগ কর্তার অবদান সঠিক ভাবে জমা পড়ছে কিনা। প্রসঙ্গত, ইপিএফও হল ভারত সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের অধীনস্থ একটি সংস্থা। এই সংস্থাই ভারতে সংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের জন্য ভবিষ্য তহবিল, পেনশন এবং বিমা প্রকল্প পরিচালনা করে।
advertisement
অনলাইনে ইপিএফও পাসবুক পাওয়ার উপায়:
অ্যাকাউন্ট হোল্ডার ইপিএফও ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে ইপিএফও পাসবুক অ্যাক্সেস করতে পারেন। তবে এর জন্যে ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর (ইউএএন) এবং পাসওয়ার্ড প্রয়োজন হবে।
পাশবুকে সুদ আপডেট না করলে কী আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে:
পাশবুকে সুদ আপডেট করানোর সঙ্গে আর্থিক লাভ-ক্ষতির কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ মাসের অর্জিত সুদ সর্বদা সেই বছরের ক্লোজিং ব্যালান্সে যোগ করা হয়। সুতরাং পাসবুক আপডেট করতে দেরি হলেও কোনও ক্ষতি নেই।
শুধু তাই নয়, যদি কোনও সদস্য তার পাশবুকে সুদ আপডেট করার আগে ইপিএফ বকেয়া প্রত্যাহার করেন, সে ক্ষেত্রেও, তাঁর দাবি নিষ্পত্তির সময়, বকেয়া সুদ গণনা করা হয় এবং স্বয়ংক্রিয় ভাবে বকেয়া হওয়ার তারিখ থেকে পরিশোধ করা হয়। এই ক্ষেত্রেও আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: এফডি-তে সুদের হার কমাল PNB, Axis Bank! স্থায়ী আমানতের হার বৃদ্ধির যুগ শেষ, বলছেন বিশেষজ্ঞরা!
মাসের শুরুতেই শ্রমমন্ত্রক স্পষ্ট করে দিয়েছে, উচ্চতর পেনশন বেছে নেওয়া গ্রাহকদের মৌলিক মজুরির ১.৬ শতাংশের অতিরিক্ত অবদান ইপিএফও দ্বারা পরিচালিত সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলিতে নিয়োগ কর্তাদের অবদান থেকে পরিচালিত হবে।
ইপিএফ-এ সুদের হার:
বর্তমানে ইপিএফ-এ সুদের হার বাড়িয়ে ৮.১৫ শতাংশ করেছে ভারত সরকার। এতে এমপ্লয়িজ ফান্ড অর্গানাইজেশনের ৬ কোটিরও বেশি গ্রাহক উপকৃত হবেন।