এখন যদি আরবিআই রেপো রেট এবং রিভার্স রেপো রেট বাড়িয়ে দেয় তাহলে লোনের ইএমআইও বাড়বে। অর্থাৎ গ্রাহককে আগের থেকে আরও বেশি টাকা গুণতে হবে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে রেপো রেট ৪ শতাংশে ধরে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, রিভার্স রেপো রেটও ৩.৩৫ শতাংশে বজায় রাখা হয়েছে। এ ছাড়া নগদ সংরক্ষণের অনুপাতও ৪ শতাংশে বহাল রাখা হয়েছে। এতে প্রান্তিক স্থায়ী সুবিধা হার রাখা হয়েছে ৪.২৫ শতাংশ এবং ব্যাঙ্ক রেটও রাখা হয়েছে ৪.২৫ শতাংশ। অন্য দিকে, রিজার্ভ অনুপাতের ক্ষেত্রে, ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও রাখা হয়েছে ৪ শতাংশ এবং এসএলআর রাখা হয়েছে ১৮ শতাংশে।
advertisement
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অগাস্ট থেকে পলিসি রেট বাড়াতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। আরবিআই স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, অপরিবর্তিত রেট ৩ বছরে পড়ল। এবার অবস্থান বদলানোর সময় এসেছে। প্রবৃদ্ধির বদলে এবার মূল্যস্ফীতির দিকে নজর দিতে হবে। গত তিন ত্রৈমাসিকে খুচরো মূল্যস্ফীতির হার আরবিআই-এর উর্ধ্বসীমা ৬ শতাংশের উপরে ছিল। এই পরিস্থিতিতে নয়া অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের শেষে অর্থাৎ অগাস্ট থেকে পলিসি রেট বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন - Cryptocurrency Trading: কর চালু হওয়ার জের, ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেনে ব্যাপক পতন
শিল্পসংস্থা ফিকি-র সভাপতি সঞ্জীব মেহতা বলছেন, ‘টানা ১১ মাস পলিসি রেট পরিবর্তন না করার মতো উদারপন্থা অবলম্বন করেছে আরবিআই। এটাকে স্বাগত জানানো উচিত। মুদ্রাস্ফীতি যাতে আরবিআই-এর লক্ষ্যসীমার মধ্যে থাকে সেটাও দেখতে হবে। আগামী সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক পলিসি রেটের বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবে’।
একই কথা বলছেন অ্যাসোচেম-এর মহাসচিব দীপক সুদ। তাঁর মতে, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক দেশীয় অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব কমানোর জন্য অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি যাতে রুদ্ধ না হয়ে যায় সেজন্য বিভিন্ন আর্থিক মাধ্যম ব্যবহার করছে। একই সময়ে, বৈশ্বিক স্তরে ক্রমাগত ক্রমবর্ধমান অপরিশোধিত তেল এবং পণ্যের দাম ভারতীয় অর্থনীতিতে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না’।