বলা হচ্ছে, যে ধনকুবের একদা ফোর্বসের মতো পত্রিকার প্রথম দশের তালিকায় জায়গা করে নিতেন লাভের নিরিখে, তিনিই এখন রেকর্ড গড়ছেন ভরাডুবির খাতে। এই জায়গায় এসে বলে রাখা ভাল যে, গিনেস বুক অফ রেকর্ড এই লোকসানের তথ্য পেয়েছে ওই ফোর্বস পত্রিকাতেই মাস্কের আর্থিক গতি নিয়ে প্রকাশিত এক নিবন্ধ থেকে। তবে তার সবটা বিশ্বাস করতে রাজি নয় গিনেস। তাদের দাবি, অন্য আরও সূত্র খতিয়ে দেখলে লোকসানের পরিমাণটা আরও বেশিই দাঁড়াবে!
advertisement
আরও পড়ুন: দীপাবলিতেই রাস্তায় নামবে BYD Seal! আসছে নতুন প্রিমিয়াম ইলেকট্রিক সেডান
ভাবা যায় না, না? তবে এই লোকসান কিন্তু রাতারাতি হয়নি। তার শুরুটা প্রকাশ্যে এসেছে গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকেই। বছরশেষে যখন বছরসেরা ধনপতির তালিকা তৈরি হচ্ছে, সেই সময়ে মাস্ককে পিছনে রেখে প্রথম জায়গাটা দখল করেছেন ফরাসি বিলাস-ব্যসনের সংস্থা এলভিএমএইচ-এর চিফ একজিকিউটিভ বার্নার্ড আর্নল্ট। মাস্কের হাতে আপাতত রয়েছে ১৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর তাঁর কাছে ১৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কারণটা বোধহয় ওই বছর থেকে পড়তে থাকা টেসলার শেয়ারদর। ২০২২ সালে টেসলার শেয়ারদর পড়েছিল ৬৫ শতাংশ, ওই বছরে মাত্র ১.৩ মিলিয়ন গাড়ি মেরে-কেটে বিক্রি করতে পেরেছিল টেসলা। বাজার বিশেষজ্ঞরা হেসেছিলেন আর মনে মনে বলেছিলেন- হবেই তো, ট্যুইটার নিয়ে অত মেতে থাকলে টেসলার হাল তো খারাপ হবেই! সত্যি বলতে কী, ওই ট্যুইটার কিনতে ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খচ করাটা যে তাঁর উচিত হয়নি, একথা বিশ্ববাজারের সর্বত্র সহমত তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: কৃষকদের জন্য বড়সড় সিদ্ধান্ত সরকারের! কৃষি খাতে এ-বার তৈরি হবে ৩ সমবায় সমিতি!
তা, খরচ যখন করেই ফেলেছেন, কী আর করা যাবে! অবশ্য, ভেবে দেখলে এও এক ধরনের বড়মানুষি কৃতিত্ব তো বটেই, দৃষ্টিকোণটাই যা আলাদা, রাজা হওয়ার বদলে ফকির হওয়ার খেলা। সেই খেলাতে এবার ২০০০ সালে ৫৮.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খুইয়ে সর্বোচ্চ লোকসানের রেকর্ড গড়া জাপানি টেক ইনভেস্টর মাসায়োশি সোনকে মাত দিলেন মাস্ক। বাজার বিশেষজ্ঞরাও কিন্তু একে খেলাই বলবেন। কেন না, যে টাকাটা লোকসান হয়েছে, সেটা টেসলার শেয়ারদর থেকে গিয়েছে। মানে জলের মতো সোজা- টেসলায় একটু মন দিলেই মাস্কের এই শেয়ারদর আবার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, লক্ষ্মী আবার দুনিয়া ঘুরে থিতু হতে পারেন তাঁরই ঘরে!
রাখবেন কি না, সেটা যদিও মাস্কের ব্যাপার!