এরকমই ইঙ্গিত দিয়েছেন খোদ কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি (Nitin Gadkari)। তিনি বলেছেন, ‘দ্রুত নিত্যনতুন প্রযুক্তি আসছে। গ্রিন এনার্জিরও দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। তাই আগামী ২ বছরের মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম পেট্রোল ডিজেলে চলা গাড়ির সমান হবে’।
আরও পড়ুন: গুজরাতে বৈদ্যুতিক গাড়ির কারখানা বানাবে সুজুকি, ১.৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ!
advertisement
মঙ্গলবার লোকসভায় 'সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রকের জন্য ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে অনুদান দাবি' শীর্ষক আলোচনার জবাবে এ কথা বলেন গড়করি। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘পেট্রোল ডিজেলের ব্যবহার কমাতে বিকল্প দেশীয় জ্বালানির দিকে আরও মনোযোগ দেওয়া দরকার’। এই ধরনের জ্বালানিতেই ভবিষ্যতে গাড়ি চলবে এবং দেশে দূষণের মাত্রা কমবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
হাইড্রোজেন সবচেয়ে সস্তা জ্বালানি হবে বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। লোকসভায় উপস্থিত সাংসদদের নিজেদের নির্বাচনী এলাকার নর্দমার জল ব্যবহার করে গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে বলেন তিনি। গড়করির কথায়, ‘খুব শীঘ্রই হাইড্রোজেন সবচেয়ে সস্তার বিকল্প জ্বালানি। তখনই বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম কমবে। আগামী ২ বছরের মধ্যে পেট্রোলচালিত গাড়ির সমান হবে বোইদ্যুতিক গাড়ির দাম’।
১০ গুণ কম খরচ: এই প্রসঙ্গেই গড়করি আরও বলেন, ‘সর্বাধিক দুই বছরের মধ্যে ইলেকট্রিক স্কুটার, গাড়ি এবং অটোরিকশার দাম পেট্রোল চালিত স্কুটার, গাড়ি এবং অটোরিকশার সমান হবে৷ লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির দাম ক্রমাগত কমছে। আমরা জিঙ্ক-আয়ন, অ্যালুমিনিয়াম-আয়ন এবং সোডিয়াম-আয়ন ব্যাটারি তৈরিতেও কাজ করছি। এতে গাড়ির খরচ ১০ গুণ কমে যাবে। আপনি যদি আজ পেট্রোলে ১০০ টাকা খরচ করেন, তাহলে বৈদ্যুতিক গাড়িতে ১০ টাকা খরচ করবেন’।
আরও পড়ুন: জোম্যাটো ইনস্ট্যান্ট! বাড়ির দরজায় ১০ মিনিটে কোন কোন খাবার পৌঁছবে জোম্যাটো? রইল তালিকা...
ভারত ২০৩০-এর মধ্যে ৩০ শতাংশ ব্যক্তিগত গাড়ি, ৭০ শতাংশ বাণিজ্যিক গাড়ি, ৪০ শতাংশ বাস এবং ৮০ শতাংশ দু’চাকা, তিন চাকার গাড়িকে বিদ্যুৎ চালিত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে গড়করির এই দাবি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম এখন অনেকটাই বেশি: বর্তমানে, টাটা, এমজি এবং টয়োটার মতো গাড়ি কোম্পানিগুলি ভারতে তাদের বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করে। তবে বর্তমানে এসব গাড়ির দাম বেশ চড়া। টাটা ইগর ইভি-র দাম শুরু হচ্ছে ১২.২৫ লাখ টাকা (এক্স-শোরুম) থেকে। অন্যদিকে, এই মুহূর্তে দেশে সর্বাধিক বিক্রিত বিদ্যুৎচালিত গাড়ির নাম ‘টাটা নেক্সন ইভি’।
এই গাড়িটির এক্স-শোরুম দাম ১৪ লক্ষ টাকার আশেপাশে। অন্য দিকে পেট্রলচালিত ‘মারুতি সুজুকি সুইফ্ট’-এর প্রাথমিক মডেলের দাম আনুমানিক ৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। পেট্রলচালিত ‘হুন্ডাই ক্রেটা’-এর আনুমানিক দাম ১০ লক্ষ টাকা। ফলে বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম কমলে যেমন জ্বালানির সাশ্রয় হবে তেমনই বিক্রি বাড়বে।