এটি আগামী ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হবে, পরবর্তী ১০ দিন কেনা যাবে। অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, SBI-এর ২৯টি অনুমোদিত শাখা থেকে মাধ্যমে ৪ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত এই বন্ড নগদে রূপান্তর করা যাবে। এই বন্ড বিক্রির জন্য SBI-ই একমাত্র অনুমোদিত ব্যাঙ্ক৷ বেঙ্গালুরু, লখনউ, সিমলা, দেরাদুন, কলকাতা, গুয়াহাটি, চেন্নাই, পটনা, নতুন দিল্লি, চণ্ডীগড়, শ্রীনগর, গান্ধীনগর, ভোপাল, রায়পুর এবং মুম্বইতে রয়েছে এর অনুমোদিত শাখাগুলি।
advertisement
অর্থ মন্ত্রকের দাবি, বন্ড ইস্যু হওয়ার তারিখ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত এটি বৈধ থাকবে। মেয়াদ শেষের পরে বন্ড জমা দিলে রাজনৈতিক দলগুলি কোনও অর্থ পাবে না।
নির্বাচনী বন্ড কী?
ভোটে লড়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলির একটা বড় খরচ হয়। সেই খরচের টাকা আসে নানা ধরনের অনুদান থেকে। ২০১৮ সালে, নরেন্দ্র মোদি সরকার রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষে তহবিল সংগ্রহের জন্য বন্ড জারি করেছিল। রাজনীতিতে অর্থায়নের স্বচ্ছতা বাড়ানোই এর উদ্দেশ্যে বলে দাবি করা হয়েছিল।
কোনও ব্যক্তি, কর্পোরেট বা কোনও প্রতিষ্ঠান এই সব বন্ড কিনতে পারেন। রাজনৈতিক দলগুলি এই বন্ডের বিনিময়ে টাকা পায়। ব্যাঙ্ক থেকে বন্ড পাওয়া যাবে। তবে শুধু তাঁরাই কিনতে পারবেন যাঁদের কেওয়াইসি ভেরিফিকেশন হয়েছে৷ দাতার নাম বন্ডে প্রকাশ করা হয় না।
রিটার্নে কী পাওয়া যাবে?
যদি কেউ ভাবেন, এই বন্ড কিনে রাজনৈতিক দলগুলিকে দিলে পরবর্তীকালে বন্ড ফেরত দিয়ে লাভ পাওয়া যাবে, তা একেবারেই ভুল। এই বন্ড আসলে রসিদের মতো কাজ করে। পছন্দের রাজনৈতিক দলের তহবিলে অর্থ দান করার পরিবর্তে এই রসিদের মতো বন্ড দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন, দিল্লি যাত্রায় বাস প্রতি কত খরচ? কী কী জানাচ্ছেন বাস মালিকরা
আরও পড়ুন, এখনই বাতিল হচ্ছে না ২০০০ টাকা, নোট বদলানোর সময়সীমা বাড়াল RBI
কোনও রাজনৈতিক দলকে অর্থ দান করতে চাইলে সরাসরি অর্থ দেওয়ার পরিবর্তে, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে দেওয়া ভাল। কারণ এতে প্রদত্ত টাকার উপর কর ছাড় পাওয়া যাবে। আয়কর ধারা ৮০ জিজিসি এবং ৮০ জিজিবি ধারায় এই ছাড় দেওয়া হয়েছে।