ডিম হিমঘরে রাখা হয়েছে কি না কীভাবে বোঝা যাবে?
কোল্ড স্টোরেজে রাখা ডিম সনাক্ত করার সবচেয়ে ভাল উপায় হল এর কুসুম। ডিমের ওমলেট বানানোর জন্য যখন ডিম ভাঙ্গা হয় তখন কুসুম নিজে নিজেভেঙে জলের মতো তরলে পরিণত হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মুরগিকে বাজরা ও চাল খাওয়ানোর ফলেও কুসুম ভেঙে যায়। এই ধরনের কুসুম স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।অনেক সময় ব্যবসায়ীরা মুরগিকে বাজরা ও চাল খাওয়ায়, কারণ এটি মুরগির খাবারের চেয়ে সস্তা।
advertisement
আরও পড়ুন: গয়না কেনার দুর্দান্ত সুযোগ! ৫০ হাজার টাকার নীচে নামল সোনার দাম
কোল্ড স্টোরেজে ডিম রাখার নিয়ম
আগ্রার জেলা হর্টিকালচার আধিকারিক দেবেশ মিত্তল সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮-কে বলেছেন, “কোল্ড স্টোরেজে আলু-সবজি এবং ফল রাখার জন্য বিভিন্ন তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। ঠিক একইভাবে ডিমের জন্যও আলাদা তাপমাত্রা প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, ডিম হিমঘরে আনার আগেও বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। ডিম কার্ডবোর্ডের বাক্সে প্যাক করা উচিত, ট্রে-তে নয়। পরীক্ষার পর অনুমোদনের সার্টিফিকেট পাওয়া অত্যন্ত আব্যশক। এছাড়া, ডিমকে কোল্ড স্টোরেজের আলাদা চেম্বারে রাখতে হবে। ডিমের সঙ্গে ফল ও সবজি রাখা যাবে না। ডিম রাখতে হলে ৪ থেকে ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা এবং ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ আর্দ্রতা থাকা প্রয়োজন।
পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞ মণীশ শর্মা বলেছেন, “বর্তমানে নিয়ম না মেনেই ডিম ট্রে-তে রাখা হচ্ছে। এতে ডিমের গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে এবং মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতিও হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: নিয়ম ভাঙার অভিযোগে গাড়ি আটকে চাবি কেড়ে নিচ্ছে পুলিশ, এটা কি আইনসম্মত? জানুন
প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও কোল্ড স্টোরেজের ডিম বিক্রি করা হচ্ছে
মণীশ শর্মা আরও বলেন, “উত্তরপ্রদেশে মরশুমে দৈনিক প্রায় ২ কোটি ডিমের প্রয়োজন হয়। অফ-সিজনে দৈনিক ১.৫ কোটি ডিম দরকার। শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশেই দৈনিক ৮০ লক্ষ ডিম প্রস্তুত হয়। অর্থাৎ, সহজেই রাজ্যের মানুষকে তাজা ডিম খাওয়ানো সম্ভব।”