সম্প্রতি বেশ কিছু সংস্থা নিজেদের ভোজ্য ও রান্নার তেলের দাম কমানোর কথা ঘোষণা করেছে। তেল কোম্পানিগুলির তরফে জানানো হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সরকার ভোজ্য তেলের উপর থেকে আমদানি শুল্ক কমিয়ে দিচ্ছে। আর এই কারণেই সস্তা হচ্ছে তেল। রান্নার তেলের মূল্য হ্রাসের বিষয় নিয়েই কিছু তথ্য আজ আলোচনা করে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: গাড়ির ট্যাঙ্ক ভর্তি করার আগে চেক করে নিন পেট্রোল ও ডিজেলের লেটেস্ট দাম....
advertisement
আদানি উইলমার (Adani Wilmar), পতঞ্জলি (Patanjali), মাদার ডেয়ারি (Mother Dairy) এবং ইমামি অ্যাগ্রোটেক (Emami Agrotech)-এর মতো প্রধান রিটেল ব্র্যান্ডগুলি সরষের তেল, সয়াবিন তেল, ভেজিটেবল অয়েল-সহ সমস্ত রান্নার তেলের দাম কমাচ্ছে। অন্যান্য কোম্পানিগুলিও এই পথে হেঁটেই তেলের দাম কমাবে বলে আশা।
এফএমসিজি ফার্ম আদানি উইলমার শনিবার ভোজ্য তেলের দাম ১০ টাকা কমিয়েছে। কোম্পানি জানিয়েছে, ফরচুন রিফাইন্ড সানফ্লাওয়ার অয়েলের এক লিটার প্যাকের এমআরপি ২২০ টাকা থেকে কমিয়ে ২১০ টাকা করা হয়েছে। আবার ফরচুন সয়াবিন এবং ফরচুন কাচ্চি ঘানি (সরষের তেল)-র ১ লিটার প্যাকের এমআরপি ২০৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৯৫ টাকা করা হয়েছে। সংস্থার এমডি এবং সিইও অংশু মল্লিক বলেন, “আমরা আমাদের গ্রাহকদের এই খরচে কাটতির সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে গ্রাহকরা পাবেন বিশুদ্ধ ভোজ্য তেল, যা তৈরির সময় নিরাপত্তা এবং আদর্শ মান বজায় রাখা হয়। গ্রাহকদের পকেটে আর চাপও পড়বে না। আমাদের বিশ্বাস, দাম কমার ফলে চাহিদা আরও বাড়বে।”
আরও পড়ুন: পিএম কিষান নিয়ে বড় আপডেট! করতেই হবে এই কাজটি
সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে, বাবা রামদেব চালিত পতঞ্জলি আয়ুর্বেদও ভোজ্য তেলের দাম প্রায় ৭ থেকে ১০ শতাংশ কমিয়েছে। সয়াবিন, বাদাম, সানফ্লাওয়ার এবং রাইস ব্র্যান অয়েলের ক্ষেত্রে এই মূল্য হ্রাস প্রযোজ্য হবে।
ধারা ভোজ্য তেলের সমস্ত ভ্যারিয়েন্টের দাম প্রতি লিটারে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমিয়েছে মাদার ডেয়ারি। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, মূলত গোটা দেশে যেসব ভোজ্য তেল ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয় (সরষের তেল, সয়াবিন তেল এবং সানফ্লাওয়ার তেল ইত্যাদি), সেগুলির দামই কমানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে নতুন এমআরপি-সহ ধারা ভোজ্য তেলের সব কটি ভ্যারিয়েন্ট বাজারে পৌঁছে যাবে।
আরও পড়ুন: মাত্র ৩২ বছর বয়সেই ১০টি প্রাইভেট বিমানের মালিক এই যুবতী
আন্তর্জাতিক বাজারে উচ্চ মূল্যের কারণে গত প্রায় এক বছর ধরে ভোজ্য তেলের দাম আকাশছোঁয়া। আবার ২০২১-২২ সালে তৈলবীজ উৎপাদন কমে যাওয়া এবং প্রস্তুতি ও বহনের খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় স্তরে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল। এর পর সাম্প্রতিক কালে অপরিশোধিত এবং পরিশোধিত ভোজ্য তেলের উপর থেকে আমদানি শুল্ক হ্রাস করেছে সরকার। যার ফলে এফএমসিজি কোম্পানিগুলির কাছে ভোজ্য তেলের খুচরো মূল্য কমানোর সুযোগ এসেছে। দেশের মানুষের চাহিদা মেটাতে প্রতি বছর প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ টন ভোজ্য তেল আমদানি করে ভারত।