তার মতে, মুরগি পালনের কাজটি যতটা সহজ মনে হয়, ততটাই নিয়ম মেনে করতে হয়। সকাল এবং বিকেলের নির্দিষ্ট সময়ে মুরগিদের খাবার দেওয়া, পরিষ্কার জল সরবরাহ করা, ফার্মে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা—এই সবকিছুই তিনি নিজে হাতে করেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য আলাদা ঘর, শীত-গরম অনুযায়ী তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন ও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা—সবটাই সময়ের মত করতে হয়। বাজারে দেশি মুরগির চাহিদা বাড়ায় তাঁর বিক্রিও ভালই হয়। চাহিদা থাকার বেশিরভাগ ত্রেতাই বাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যান।
advertisement
তবে শুরু থেকেই তিনি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা রোজগার পান নি। শুরুটা ছিল কঠিন অধ্যায়ের মতো। বাসন্তী দাস বলেন, “স্বামী না থাকায় দুই–একটা দিয়ে শুরু করেছিলাম। এখন আমার ফার্মে হাজারের বেশি মুরগি আছে। প্রতিদিনই একটু একটু করে সময় দিলেই হয়। নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছি—এটাই আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ।” নিজেই স্বনির্ভর হয়েছেন এমনটা নয়। অনেক মহিলাই এখন তাঁর কাছে এসে জানতে চান কীভাবে বাড়িতেই দেশি মুরগি পালন করা যায়। তিনি তাদের নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে সাহায্য করেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে গ্রামবাংলার অর্থনীতিতে মহিলাদের ভূমিকা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর বাসন্তী দাস সেই পরিবর্তনেরই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সংসারের সব কাজ সামলে তিনি যে সফলভাবে মুরগি পালন করতে পারেন, তা দেখিয়ে দিয়েছেন। বাজারে দেশি মুরগির ব্যাপক চাহিদা থাকায় বিক্রিও ভালই হয়। আজ তিনি শুধু একজন গৃহবধূ নন, একজন উদ্যোক্তা, একজন স্বনির্ভর নারী—যার সাফল্যের গল্প আরও বহু মানুষকে নতুন পথ দেখাচ্ছে।





