আরও পড়ুনঃ পদ্মের শিকড় বিক্রি করেই হবে প্রচুর লাভ, পুজোর আগে অর্থ উপার্জনের নয়া দিশা
ড্রাগন ফ্রুট চাষি কলিন বর্মন জানান, “লকডাউনের সময় একমাত্র ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায় তাঁর। তবে তাঁর কিছু আবাদি জমি ছিল। তাই তিনি কৃষি করবেন বলে ঠিক করেন। তারপর তিনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই ড্রাগন ফ্রুট এর বিষয়ে জানতে পারেন। তখন থেকে তাঁর এই ড্রাগন ফ্রুট চাষের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। দীর্ঘ দুই মাসের প্রচেষ্টায় তিনি তৈরি করে এই ড্রাগন ফ্রুট বাগান। বর্তমান সময়ে এই বাগানের বয়স তিন বছর। কুল চাষ, কলা চাষ, মৌসম্বি চাষের পাশাপাশি এখন ড্রাগন ফল চাষ করেও বেশ ভাল পরিমাণ লাভের মুখ দেখতে পারা সম্ভব। এছাড়াও এই ফলটি ক্যানসার প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে মানবদেহে। এই ফলের ভিটামিন-গত গুনাগুণও রয়েছে বেশ অনেকটা।”
advertisement
তিনি আরও জানান, “তবে সবসময় যে ভাল জমিতে চাষ করতে হবে এই গাছ তা কিন্তু নয়। তিনি ড্রাগন ফল চাষ করেছেন পরিত্যাক্ত জমিতে। তবে চাষের আগে ভালো করে জমি তৈরি করে নিতে হয়। এছাড়া এই চাষে জলের পরিমাণ খুবই কম দরকার হয়। গাছের গায়ে কাঁটা থাকার কারণে গবাদি পশু এই গাছকে খুব একটা পছন্দ করে না। তাই গবাদি পশুর গাছ খেয়ে ফেলার সেই ভয়টাও থাকে এক্ষেত্রে। এই ফলের পাইকারি বিক্রির বাজার কোচবিহারে নেই তাই ধুপগুড়ি ও শিলিগুড়ি এলাকায় এই ফল বিক্রি করতে হয়। তবে কোন মানুষ যদি এই ফল তাঁর বাগান থেকে এসে কিনতে চান সেই ব্যবস্থাও রয়েছে তাঁর কাছে।”
Sarthak Pandit