ড্রাগন বাগান তৈরি করার জন্য সর্বপ্রথমে উঁচু মানের জমি বেছে নিতে হবে। জমিতে বেশি পরিমাণে জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। ফালি পদ্ধতিতে চাষ করতে হবে। জমি নির্বাচনে পর ফালি তৈরি করে ভাল করে জৈব সার মাটিতে মেশাতে হবে। এরপর সেখানে রোগমুক্ত চারা লাগাতে হবে। দুই পদ্ধতিতে ড্রাগন বাগান তৈরী করা যায়। একটি হচ্ছে পোল ও অপরটি টেলিস। যদি কেউ টেলিস পদ্ধতিতে চাষ করেন, তবে একটি চারা থেকে অপর চারার দূরত্ব এক ফিট রাখতে হবে। পোল পদ্ধতিতে চাষ করলে একটি পোল থেকে অপর পোলের দূরত্ব আট ফিট রাখতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা…! গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন, বিরাট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন টলি নায়িকা
আরও পড়ুন- স্পষ্ট ‘বেবিবাম্প’! বিয়ের ১০ মাসেই ঘটা করে সাধ খেলেন মোহর, হবু মা-কে আলিঙ্গন দুর্নিবারের, রইল ছবি
চারা লাগানোর পর প্রতি সপ্তাহে একবার করে জল দিতে হবে গাছে। সপ্তাহে একদিন করে ছত্রাক নাশক স্প্রে করতে হবে। এই পদ্ধতিতে চাষ ও পরিচর্যা নিয়মিত করলে এক বছরের মধ্যে বাগানে ফুল ও ফল ধরতে শুরু করবে। ড্রাগন চাষী কার্তিক রাম বলেন, ছয় থেকে সাত মাস নিয়মিত পরিচর্যা করতে হবে। তাহলে গাছ পরিপূর্ণ হবে ফুলও ফলে। সঙ্গে ব্যাপক ফলন পাবেন।
যদি কোনও চাষের পুরনো ড্রাগন বাগান থাকে তাহলে সেই বাগানকে সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে আগামীতে ভাল ফল আসবে। এখন শীতের মরশুম। গাছের বৃদ্ধি তেমন একটা হবে না। তাই এই মুহূর্তে আগাছা পরিষ্কার ও পরিচর্যা করতে হবে। ফেব্রুয়ারি বা মার্চ পড়লেই জমিতে জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। নিয়মিত সঠিক পদ্ধতিতে জৈব সার প্রয়োগ করলে প্রতিটি গাছের নতুন ডগা গজাবে। সতেজ হয়ে উঠবে গাছ। বাগানে ভাল ফলন হবে। এই পদ্ধতিতে বাগানের পরিচর্যা করছেন মালদহের বামোনগোলা ব্লকের ড্রাগন চাষী কার্তিক রাম। বর্তমানে তিনি জেলার একজন সফল ড্রাগন চাষী। আশেপাশের ড্রাগন চাষীদের তিনি এখন প্রশিক্ষণও দেন।
হরষিত সিংহ