ডোরস্টেপ ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে নগদ জমা এবং তোলা, অর্থ স্থানান্তর, রিচার্জ এবং বিল পরিশোধ করা যাবে। অ্যাকাউন্ট-সম্পর্কিত পরিষেবাগুলির মধ্যে রয়েছে প্যান (স্থায়ী অ্যাকাউন্ট নম্বর), মনোনয়নের বিবরণ, অ্যাকাউন্টের বিবৃতি অনুরোধ করা, স্থায়ী নির্দেশ জারি করা ইত্যাদি। অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ফোন নম্বর লিঙ্ক করা থাকলেই গ্রাহক তালিকাভুক্ত ১২টি পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলি থেকে ডোর স্টেপ ব্যাঙ্কিংয়ের সুবিধা নিতে পারেন। তবে অবশ্যই এই পরিষেবা নেওয়ার সময় ৪টি জিনিস মাথায় রাখতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন-কাশীপুরে বিজেপি কর্মীকে খুনের প্রমাণ নেই ময়নাতদন্তে
প্রথমটি হল, পরিষেবার সীমিত প্রকৃতি। হোম শাখা থেকে সর্বাধিক ৫ কিমির মধ্যে থাকা গ্রাহকরাই এই পরিষেবা পান। এর থেকে বেশি দূরত্বে ডোর স্টেপ ব্যাঙ্কিং পরিষেবা উপলব্ধ নয়। তা ছাড়া ব্যাঙ্কিং সময়ের মধ্যেই এই পরিষেবাগুলি পাওয়া যায়। অনেক সময় আবেদন করার দিনে পরিষেবা নাও মিলতে পারে। বিশেষ করে বিকেল ৩টের পর আবেদন করলে এমন হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
দ্বিতীয়ত, এই পরিষেবা বিনামূল্যে পাওয়া যায় না। এর জন্য অতিরিক্ত চার্জ দিতে হয়। একটি পরিষেবার জন্য বিভিন্ন ব্যাঙ্কের চার্জ আলাদা আলাদা হতে পারে। যেমন চেক পিকআপ এবং ডেলিভারির জন্য একটি ব্যাঙ্ক ৭৫ টাকা এবং অন্য ব্যাঙ্ক ১০০ টাকা চার্জ করতে পারে। ক্যাশ পিকআপ এবং ডেলিভারির চার্জও পরিমাণের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক আলাদা আলাদা চার্জ নিতে পারে। সুতরাং ডোর স্টেপ ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পেতে চাইলে অতিরিক্ত ব্যয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
আরও পড়ুন-দেশি মদ খেয়েও চড়েনি নেশা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে সটান নালিশ ঠুকলেন মধ্যপ্রদেশের এক মদ্যপ!
তৃতীয়ত, সব অ্যাকাউন্টে হয় তো এই পরিষেবা নাও মিলতে পারে। যতদূর জানা গিয়েছে, কেবলমাত্র সম্পূর্ণ কেওয়াইসি আপডেট করা রয়েছে এমন অ্যাকাউন্টগুলিতেই এই পরিষেবা দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য কিছু ছাড় রয়েছে। তবে এই পরিষেবা পেতে তাঁদের সেভিংস বা কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্সের মতো কিছু শর্ত পূরণ করতে হতে পারে।
চতুর্থ বিষয়টা হল, এই পরিষেবা নেওয়ার জন্য যেমন আবেদন করা যায় তেমনই আবেদন বাতিলও করা যায়। ব্যাঙ্কের এজেন্ট গ্রাহকের ডকুমেন্ট তুলে নেওয়ার আগে পোস্ট-সার্ভিস অর্ডার বাতিল করতে হবে। এজেন্ট একবার নথি তুলে নিলে তা আর সম্ভব নয়।