ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কীভাবে আরও সুবিধাজনক হতে পারে, তাই নিয়েই এখানে আলোচনা করা হল। ক্রেডিট কার্ডের সঠিক ব্যবহার ভবিষ্যতে গ্রাহককে বাঁচানোর পাশাপাশি ঋণ আবেদন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এখন দেখে নেওয়া যাক, ক্রেডিট কার্ডকে কীভাবে ‘প্রফিট কার্ড’-এ বদলে ফেলা যায়।
আরও পড়ুন: ৭ দিন পর অ্যাকাউন্টে আসবে টাকা ? চেক করে নিন আপনি কি পাবেন এই টাকা
advertisement
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে:
ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহক কেনাকাটা করেন। ক্রয় এবং অর্থপ্রদানের মধ্যে একটা গ্রেস পিরিয়ড থাকে। এই সময়ের মধ্যে টাকা মিটিয়ে দিতে পারলে ব্যাঙ্ক কোনও সুদ নেয় না। এটা ক্রেডিট কার্ডের সবচেয়ে বড় সুবিধা। সাধারণত ১৮ দিন থেকে ৫৫ দিন পর্যন্ত গ্রেস পিরিয়ড হয়। এই পরিস্থিতিতে যদি হঠাৎ টাকার প্রয়োজন হয়, ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে প্রয়োজন মিটিয়ে গ্রেস পিরিয়ড শেষ হওয়ার আগে সুদ ছাড়াই সেই টাকা ব্যাঙ্কে ফেরত দেওয়া যায়। এই সুবিধা সব সময় নেওয়া উচিত।
সহজে ঋণ পাওয়া যায়:
ক্রেডিট কার্ডকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করে গ্রাহক ভাল ক্রেডিট স্কোর তৈরি করতে পারেন। আর ভাল ক্রেডিট স্কোর থাকলে ঋণ পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়। ক্রেডিট স্কোর দরুন করার সবচেয়ে ভাল পথ হল ক্রেডিট কার্ডের সঠিক ব্যবহার। এ-ছাড়া হঠাৎ কোনও প্রয়োজন হলে ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরা সহজেই প্রাক-অনুমোদিত ঋণ পেতে পারেন।
আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য দীপাবলির মেগা খবর! ৪% ডিএ বৃদ্ধি কেজরিওয়াল সরকারের
বিল মেটানো যাবে কিস্তিতে:
থোক টাকা দিয়ে কেনা সম্ভব নয়, এমন জিনিসও ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে সহজেই কেনা যায়। তার পর মাসিক কিস্তি বা ইএমআই-তে বিল পরিশোধ করতে হয়। এমন ব্যবস্থাও আছে। ইএমআই সাধারণত দুই ধরনের হয়। একটা হল নো-কস্ট ইএমআই। এটার মেয়াদ হয় সাধারণত ৩ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত। এতে সুদ নেওয়া হয় না। আর অন্যটা হল সাধারণ ইএমআই। যা সাধারণত এক বছরের বেশি হয় এবং এতে সামান্য সুদ দিতে হয়। এই ভাবে ব্যবহার করে গ্রাহক সহজেই ক্রেডিট কার্ডকে প্রফিট কার্ডে রূপান্তরিত করতে পারবেন।