যত বছরে টাকা দ্বিগুণ হবে = ৭২ / সুদের হার
যে সময়ে টাকা দ্বিগুণ হবে, তার হিসেব মূলত করা হচ্ছে এই ৭২-এর নীতির মাধ্যমে। তবে সে-ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে হবে ফিক্সড ডিপোজিট, সেভিংস অ্যাকাউন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড ইত্যাদিতে।
আরও পড়ুন: Petrol Diesel Prices : আজ কলকাতায় পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কত হল, বাড়ল না কমল ?
advertisement
ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রে সুদের হার অনুযায়ী হিসেবটা কষে নেওয়া যাক:
ধরা যাক, ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের হার ১ শতাংশ, সে-ক্ষেত্রে টাকা দ্বিগুণ হতে সময় লাগবে ৭২ বছর। (৭২ / ১ = ৭২)
ধরা যাক, ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের হার ৪ শতাংশ, সে-ক্ষেত্রে টাকা দ্বিগুণ হতে সময় লাগবে ১৮ বছর। (৭২ / ৪ = ১৮)
ধরা যাক, ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের হার ৮ শতাংশ, সে-ক্ষেত্রে টাকা দ্বিগুণ হতে সময় লাগবে ৯ বছর। (৭২ / ৮ = ৯)
ধরা যাক, ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের হার ১২ শতাংশ, সে-ক্ষেত্রে টাকা দ্বিগুণ হতে সময় লাগবে ৬ বছর। (৭২ / ১২ = ৬)
উচ্চ সুদের হারের তুলনায় বরং নিম্ন হারে সুদের হিসেবের ক্ষেত্রে এটা মূলত নিখুঁত একটি ফর্মুলা। ধরা যাক, কেউ সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকা রেখেছেন, যার সুদ ৪ শতাংশ। সে-ক্ষেত্রে তাঁর টাকা দ্বিগুণ হতে সময় লাগবে প্রায় ১৮ বছর। যদি কারও হাতে অতিরিক্ত পরিমাণ সঞ্চিত অর্থ থাকে, তা-হলে সেই টাকা ফিক্সড ডিপোজিট অথবা অন্যান্য় সিকিউরিটিজে রাখা যেতে পারে। যাতে ৬ শতাংশ পর্যন্ত সুদ মিলতে পারে। আর সে-ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ দ্বিগুণ হতে আরও কম সময় অর্থাৎ ১২ বছর লাগবে। এই ভাবেই মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রেও হিসেবটা কষে নেওয়া যেতে পারে। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের উপর গড় বার্ষিক রিটার্ন যদি ৮ শতাংশ হয়ে থাকে, তবে মাত্র নয় বছরেই সেই টাকা দ্বিগুণ করে ফেলা সম্ভব।
আরও পড়ুন: এখন কি সোনা কিনবেন না আরও একটু অপেক্ষা করে যাবেন ? দেখে নিন আজকে ১০ গ্রামের দাম
৭২-এর নীতির ফলাফল বিনিয়োগকারীকে বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগের সুযোগ বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা প্রদান করে। উপরোক্ত সূত্র দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে, সুদের হার যত বেশি হবে, তত তাড়াতাড়ি টাকা দ্বিগুণ হবে। আবার সুদের হার যত বেশি হবে, ঝুঁকির পরিমাণও তত বাড়বে। আবার অন্য দিকে, কত সময়ে টাকা দ্বিগুণ হচ্ছে তার হিসেব কষতেও ৭২-এর নীতি কাজে লাগছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, কেউ গোল্ড লোন নিয়েছেন, যার সুদের হার ১৮ শতাংশ। এতে ঋণগ্রহীতার টাকা দ্বিগুণ হতে প্রায় ৪ বছর সময় লাগবে।
পরিশেষে বলা যায়, উপরোক্ত এই সূত্র ধরে কোনও ব্যক্তি কৌশল এবং ঝুঁকি ও রিটার্নের হিসেব করে সবটা নির্ণয় করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন।