হাতে যথেষ্ট টাকা নিয়েই অবসর গ্রহণ করা উচিত। এ ব্যাপারে কোনও দ্বিমত নেই। এর জন্য অল্প বয়স থেকে বিনিয়োগ শুরু করতে হবে এবং ধারাবাহিকভাবে সেই বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে হবে। সঙ্গে মেনে চলতে হবে একটা নিয়ম, সেটা হল ‘৫৫৫ রুল’।
আরও পড়ুন- ১ লাখ থেকে বেড়ে ৩.৭৯ কোটি টাকা; এই ৫ মিউচুয়াল ফান্ডে মিলেছে ১০০ গুণ রিটার্ন
advertisement
যদি ২৫ বছর বয়সে কেউ প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ শুরু করেন তাহলে ৩০ বছর পরে অর্থাৎ ৫৫ বছর বয়সে তিনি ২.৬৪ কোটি টাকার মালিক হবেন। এর মধ্যে অলৌকিক কিছু নেই। ১২ শতাংশ রিটার্ন ধরে এই হিসেব করা হয়েছে।
এর জন্য কি এসআইপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে হবে? এসআইপি ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, ৩০ বছর টানা পাঁচ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে ১.৭৬ কোটি টাকা হাতে আসে। তাহলে?
এখানেই সূত্রের তৃতীয় ‘৫’-এর প্রবেশ। প্রতি বছর বিনিয়োগ ৫ শতাংশ বাড়াতে হবে। সোজা কথায় ৫ শতাংশ বার্ষিক স্টেপ আপ করতে হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আয় বাড়বে। সেই অনুযায়ী বিনিয়োগও বাড়াতে হবে।
১২ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি বার্ষিক বৃদ্ধি ধরে ৫ শতাংশ বার্ষিক স্টেপ আপে প্রতি মাসে ইক্যুইটি বা ইনডেক্স এসআইপিতে ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ শুরু করলে ৫৫ বছর বয়সে প্রায় ২.৬৪ কোটি টাকার কর্পাস হবে।
এখন কেউ যদি ৫৫ বছরের পরিবর্তে ৫০ বছরে অবসর নিতে চান, তাহলে কি ২.৬৪ কোটি টাকার কর্পাস তৈরি সম্ভব? এর তিনটি পদ্ধতি আছে।
আরও পড়ুন- শিশুদের জন্য এবার ১০,৮০০ টাকার FD, কী কী বিশেষ সুবিধা মিলবে
প্রথমত, মাসিক এসআইপি-র পরিমাণ বৃদ্ধি।
দ্বিতীয়ত, বার্ষিক বৃদ্ধির পরিমাণ বাড়ানো।
তৃতীয়ত, ঝুঁকি নিয়ে আরও বেশি রিটার্নের খোঁজা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক্ষেত্রে মাসিক ৯,৭০০ টাকার এসআইপি করতে হবে। এবং বার্ষিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি জারি রাখতে হবে। ১২ শতাংশ রিটার্নেই ৫০ বছর বয়সে ২.৬৪ কোটি টাকার লক্ষ্যপূরণ হবে।