আরও পড়ুন: ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা আয় করা যেতে পারে এই ব্যবসায়!
১) ঘর ভাড়ায় ছাড়
ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করার সময় অবশ্যই দেখে নিতে হবে এই বিষয়টি। যদি কেউ ঘর ভাড়ার টাকার ওপর আয়কর ছাড় পেতে চায়, তাহলে এর প্রথম শর্ত হল তাকে বেতনভোগী হতে হবে। কারণ নিজেদের বেতনের মধ্যে হাউজ রেন্ট অ্যালাওয়েন্স (House Rate Allowance) যুক্ত থাকে। এর মাধ্যমে আয়কর আইনের ধারা ১০(১৩এ) অনুসারে নিশ্চিত সীমা অবধি ট্যাক্স ছাড় পাওয়া যায়।
advertisement
২) সঞ্চিত অর্থের সুদের ওপর ছাড়
ব্যাঙ্ক, ডাকঘর এবং অন্যান্য কোথায় টাকা জমিয়ে যে সুদ পাওয়া যায় তা নিজেদের আয়ের সঙ্গে যোগ করে এর ওপর ট্যাক্সের স্ল্যাব নির্ধারিত করা হয়। কিন্তু করদাতারা আয়কর আইনের ধারা ৮০টিটিএ অনুসারে সঞ্চিত অর্থের সুদের ওপর প্রায় ১০,০০০ টাকার ছাড় পেতে পারে। যদি মূল রাশি সেই সীমার থেকে কম হয় তাহলে পুরো রাশি করমুক্ত হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে ফিক্সড, রেকারিং এবং অন্যান্য কিছু সঞ্চয়ে এই ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায় না।
আরও পড়ুন: ডিলার কম রেশন কম দিচ্ছে বা রেশন চুরি করছে? জেনে নিন প্রতিকারের উপায়!
৩) মাতা-পিতার চিকিৎসার বিলে ছাড়
ইনকাম ট্যাক্সে ছাড় পাওয়ার জন্য সকলেই আয়কর আইনের ধারা ৮০সি এবং ৮০ডি সম্পর্কে জানলেও অন্যান্য ধারা সম্পর্কে জানে না। কিন্তু ইনকাম ট্যাক্সে ছাড় পাওয়ার জন্য এমনই কয়েকটি ধারা রয়েছে। আয়কর আইনের ধারা ৮০ডি অনুসারে নিজের, পরিবারের এবং পিতা-মাতার চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামে কর বাঁচানো যায়। আয়কর আইনের ধারা ৮০ডি অনুসারে পরিবারের স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামে প্রায় ২৫ হাজার টাকা ছাড় পাওয়া সম্ভব। আয়কর আইনের ধারা ৮০ডি অনুসারে বরিষ্ঠ নাগরিকের স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ছাড় পাওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন: মোদি সরকারের বড় সিদ্ধান্ত, আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন পাবে ৮০ কোটি নাগরিক!
৪) দান করা অর্থের ওপর ছাড়
আয়কর আইনের ধারা ৮০জি, ৮০জিজিএ, ৮০জিজিসি অনুসারে চাঁদা দেওয়ার জন্য এবং দান করার জন্য আয়কর ট্যাক্সে ছাড় পাওয়া যায়।