টমেটোর জ্যুস, জলপাই তেল, লেবুর রস, লঙ্কা দিয়ে তৈরি এই স্পেশাল ম্যারো মার্টিনি এখন ঝড় তুলেছে মার্কিন মুলুকে। তবে শুধু পানীয় নয়, চমক আরও আছে। গ্লাসে পানীয়র সঙ্গেই থাকবে ১৫০টি হীরে খচিত সোনার নেকলেস। এই নেকলেস ডিজাইন করেছে ম্যারো ফাইন জুয়েলারি হাউজ।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে মিলবে এই বিশেষ সুবিধা, উপকৃত হবেন কয়েক লাখ পেনশনভোগী
advertisement
হ্যাঁ, যে গ্রাহক ১১ লাখ টাকা খরচ করে এই পানীয় কিনবেন, নেকলেসও তাঁর। ফক্স নিউজের একটি প্রতিবেদনে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে এই খবর। বলা হয়েছে, রেস্তোরাঁয় বিলাসবহুল এই পানীয়ের সঙ্গে গ্রাহকদের ম্যারো ফাইনের তৈরি করা ৯ ক্যারেট ডায়মন্ড টেনিস নেকলেসও দেওয়া হচ্ছে, যাতে ১৪ ক্যারেট সোনার সঙ্গে ১৫০টি হীরের সেট রয়েছে। যাকে বলে এক ঢিলে দুই পাখি।
ভেবে দেখুন একবার, স্বর্ণালী সন্ধ্যায় আধো আলো আধো ছায়ায় প্রিয়তমার হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন ১১ লাখ টাকার স্পেশাল ম্যারো মার্টিনি। কাঁচের গ্লাসের একদিকে ঝুলছে হীরের নেকলেস। তা দেখে প্রিয়তমার মুখের ভাবটা একবার কল্পনা করুন। খুশিতে কতটা উচ্ছ্বল হতে পারে। সেই খুশির কাছে ১১ লাখ টাকা তো তুচ্ছ।
এখন কেউ বলতেই পারেন, পকেটে রেস্ত থাকলে তবে না খরচের কথা ভাবা যাবে। সে কথা সত্যি। এই পানীয় যিনি তৈরি করেছেন, তিনিও কম বিখ্যাত নন। তাঁর নাম কলিন হোফার। তিনিই বানিয়েছেন এই পানীয়ের রেসিপি। ২০২২ সালে মিশেলিন গাইডের ‘সোমিলিয়ার অফ দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হয়েছিলেন কলিন। নানা স্বাদের ককটেল তৈরিতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। দেশ-বিদেশের পুরস্কারও জিতেছেন।
ম্যারো মার্টিনের স্বাদ কেমন? থামুন মশাই। আগে তো খরচের ধাক্কা সামলানো যাক, তারপর স্বাদের কথা ভাবা যাবে। এমন কথা বলছেন অনেকেই। কারণ এটাই এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামী পানীয়। সুরাপ্রেমীরা একবার হলেও এর স্বাদ নিতে চাইছেন। কিছুই নয়, বন্ধুমহলে বড় মুখ করে বলা তো যাবে, “বিশ্বের সবচেয়ে দামি পানীয় চেখে দেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে।” কিন্তু দামটাই বড় ফ্যাক্টর। সাধ থাকলেও সাধ্যে কুলোচ্ছে না অনেকেরই।