দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে প্যাডেল ভ্যানে রেস্তোরাঁ চালিয়েই জীবিকা অর্জন করছেন তিনি। নিজের ইচ্ছাশক্তি আর কঠোর পরিশ্রমই তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তবে করণ একাই একশো নন। করণের পরিবারের প্রায় ১০ জন সদস্য ভ্যান রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠিত করতে কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিদিন।
ফ্রায়েড রাইস, রুটি, চিলি চিকেন, পনির মশলা, তড়কা ও আলুরদম সহ প্রায় ১২ রকমের সুস্বাদু খাবারের পদ তৈরি করে খাদ্য রসিক মানুষকে আকর্ষণ করে চলেছেন।
advertisement
নির্জন বাড়ির মধ্যে রাখা বিলাসবহুল গাড়ি! খুলতেই সর্বনাশ… বেরিয়ে পড়ল ১৪০০ টি ভয়ঙ্কর জিনিস!
রাফাল, F-৩৫, সুখোই সব ফেল! এখন দুনিয়া কাঁপাচ্ছে চিনের ‘অদৃশ্য বুলেট’! ব্রহ্মোসও এর কাছে শিশু!
দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের চণ্ডীদাস বাজারে রয়েছে এমনই একটি নজিরবিহীন রেস্তোরাঁ। জনবহুল বাজারের এক অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকায় মিটমিটে আলোতে নিঃশব্দে ওই রেস্তোরাঁ চালিয়ে যাচ্ছেন করণ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কারণে খাদ্য রসিক মানুষজন ভিড় জমায় তাঁর রেস্তোরাঁর সামনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, করণ দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপে জেসি বোস এলাকার বাসিন্দা। ওই যুবক এক সময় মুম্বাইয়ে একটি সুখ্যাত রেস্তোরাঁয় রান্নার কাজে সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানেই তাঁর রান্নার হাতেখড়ি। এরপর তিনি দুর্গাপুরে নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন। দুর্গাপুরে ফের একটি সুখ্যাত রেস্তোরাঁতে রান্নার কাজে নিযুক্ত হন। ওই রেস্তোরাঁয় তাঁর হাতের তৈরি খাবারের ব্যাপক সুনাম হতে থাকে। কিন্তু নাম হত কেবল ওই রেস্তোরাঁর।
খাবারের সুনাম প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত থাকতেন করণ। নানান কারণে সেখানে বেশ কয়েক বছর কাজ করার পরে তিনি নিজে একটি রেস্তোরাঁ করার ভাবনাচিন্তা করেন। কিন্তু তাঁর অর্থবল কম থাকায় বড় আকারের রেস্তোরাঁ করা থেকে পিছিয়ে পড়েন। তবে তাঁর ইচ্ছেশক্তিকে কখনও কমজোর করেননি।
তিনি রেস্তোরাঁ গড়তে একটি প্যাডেল করা ভ্যান কেনেন। ওই ভ্যানেই রেস্তোরাঁর মত কাঁচের ঘর বানিয়ে সুসজ্জিত করে তোলেন। ওই কাঁচের ঘরে স্টিলের পাত্রে তাঁর বানানো টাটকা নানান খাবারের পদ রাখতে শুরু করেন।
চণ্ডীদাস বাজারের ঝলমলে আলো ও ঘিঞ্জি এলাকার আড়ালে একটি বটবৃক্ষের নীচে ওই ভ্যান রেস্তোরাঁ নিয়ে প্রতিদিন হাজির হন করণ। প্রতিদিন প্রায় শতাধিক খাদ্য রসিক মানুষ তাঁর রেস্তোরাঁতে ভিড় করেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও খাবারের গুণমান বজায় থাকায় দেদার বিকোয় করণ ডেলিকেসির সব স্পেশাল আইটেম।
দীপিকা সরকার