মুস্তফানগরের দম্পতি দিপু দেবশর্মা ও সাধী দেবশর্মা তাঁরা তাদের নিজেদের ৬/৭ কাঠা জমিতে ফাল্গুন মাসে চকলেট পিয়ার এই জাতের টমেটো বীজ লাগিয়েছিলেন। এই টমেটো আষাঢ় মাসে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। দিপু বাবু জানান চারা গাছ লাগানোর ৪/৫ মাসের মধ্যে ভাল পরিমাণে চকলেট টমেটো ধরেছে তাঁদের জমিতে। এক সাক্ষাতকারে দিপু দেবশর্মা আরও বলেন, এই জাতের টমেটো মূলত বর্ষাকালীন সময় হয়। এটির চাহিদা বাজারে খুব । এই টমেটোর চাটনি খেতে হলে কোন চিনি বা গুড় দিতে হয় না। কারণ অন্যান্য টমেটোর মত এই টমেটো টক নয় পুরোপুরি মিষ্টি । তাই খেতেও দারুন স্বাদের হয়।
advertisement
দীপু দেবশর্মা জানান, যেহেতু বর্ষার সময় কোনও টমেটো পাওয়া যায় না বাজারে তাই এই টমেটো বর্ষার মধ্যেই চাষ হয় এবং বর্ষার মধ্যেই ফলন হয়। আর এতে বাজারে ভীষণ লাভ হয়। দিপু বাবু আরও জানান এই টমেটো বাজারে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। দিপু বাবুর স্ত্রী সাধী দেবশর্মা জানান তার স্বামীর সঙ্গে তিনিও এই টমেটো গাছের পরিচর্যা করেন।
আরও পড়ুন:নিজে প্রার্থী, অথচ দেওয়াল লিখছেন বিরোধী প্রার্থীদের হয়ে! আজব কাণ্ড কারণ কী জানেন?
আরও পড়ুন: জেলে এমন কী হচ্ছে তাঁর সঙ্গে? বিচারকের কাছে বিস্ফোরক অর্পিতা! চমকে উঠল সকলে
দিপু দেবশর্মার স্ত্রী সাধী দেবশর্মা বলেন তাঁরা মাস পাঁচেক আগে রায়গঞ্জ বীজ ভান্ডার থেকে তিনি এই চকলেট পিয়ার টমেটোর বীজ এনেছিলেন। তারপর থেকেই তাঁরা তাদের জমিতে একটি মাচা তৈরি করে এই টমেটো চাষ করছেন।দারুন স্বাদের এই চকলেট টমেটো স্বাদে যেমন মিষ্টি তেমনি দামেও ভালো লাভ হওয়ায় খুশি এই দম্পতি।
এদিকে এই চকলেট টমেটোর বিষয় কালিয়াগঞ্জ ব্লকের কৃষি আধিকারিক মৌমিতা সরকার বলেন জেনে খুব খুশি হলাম যে কৃষকরা নিজেদের উদ্যোগেই এখন এই চকলেট টমেটোর চাষ শুরু করেছেন। তিনি বলেন এই টমেটো খুব মিষ্টি হয় অন্যান্য টমেটো থেকে তাই বাজারে চাহিদা এর খুব ভাল। ভাল দামে কৃষকরা এই টমেটো বিক্রি করতে পারবেন। তিনি বলেন বর্ষার সময় অন্যান্য টমেটো যখন বাজারে পাওয়া যায় না তখন এই টমেটো বাজারে উঠে আসে তাই এই টমেটোর খুব চাহিদা থাকে। এই টমেটো মূলত সোলানাম লাইকোপারসিকাম প্রজাতির। এই টমেটো দেখতে কাঁচা অবস্থায় অনেকটা সবুজ ও পাকলে খয়েরি রঙের হয়। এই প্রজাতির টমেটোর উৎপত্তি মূলত পশ্চিম দক্ষিণ আমেরিকা এবং মধ্য আমেরিকায়। এটির রং অনেকটা চকলেটের মতো ও খেতেও চকলেটের মতই মিষ্টি।
পিয়া গুপ্তা