পুজোর আগেই টানা নিম্নচাপ ও প্রবল বর্ষণে উত্তাল হয়েছিল সমুদ্র। প্রশাসনের নির্দেশে একাধিকবার সমুদ্র থেকে ফিরতে হয়েছে মৎস্যজীবীদের। টানা কয়েক সপ্তাহ মৎস্য শিকার বন্ধ থাকার কারণে বাজারে দেখা দিয়েছে অকাল। সাধারণ ক্রেতার পাতে এখন মাছ যেন বিলাসবস্তু। টানা দুর্যোগ শেষে দীর্ঘদিন পর মৎস্যজীবীরা মৎস্য শিকারে বেরিয়েছেন আর তাতেই মাছের দামে লেগেছে আগুন। আগে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া ছোট সামুদ্রিক মাছ এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়। রুলি মাছের দাম ২০-৩০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০-৭০ টাকায়। পটল মাছ আগে ১১৫ টাকায় মিললেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১৮০ টাকায়। আর ভোলা মাছ ১৮০ টাকার বদলে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়।
advertisement
দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, “বর্তমানে বাজারে মাছ প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। টানা দুর্যোগের কারণে মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে যেতে পারেননি। ফলে বাজারে সামুদ্রিক মাছের অকাল দেখা দিয়েছে। তবে আশা করছি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তখন দামও অনেকটাই কমে যাবে।” উপকূলীয় এলাকা থেকে শুরু করে কলকাতার বাজার, সব জায়গাতেই সামুদ্রিক মাছের চাহিদা ব্যাপক। ফলে সরবরাহ কম থাকায় চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরাও। দীর্ঘদিন পর মৎস্যজীবীরা ধীরে ধীরে ফিরেছেন তাদের পুরোনো পেশায়।
দিঘা মোহনার মৎস্য ব্যবসায়ীদের কথায়, মৎস্যজীবীরা ট্রলার নিয়ে ফিরলেই পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হবে। কিন্তু ততদিন পর্যন্ত অতিরিক্ত গাঁটের কড়ি খরচ করেই মাছ কিনতে হবে ক্রেতাদের। সমুদ্র এখন শান্ত হলেও বাজার রয়ে গিয়েছে উত্তাল। দিঘা মোহনায় ফের ব্যস্ততা শুরু হলেও, মাছে-ভাতে বাঙালির মুখে এখনও পুরোপুরি স্বস্তির হাসি ফেরেনি। কবে স্বাভাবিক হবে সামুদ্রিক মাছের বাজার, সেই অপেক্ষায় দিন গুনছেন মৎস্যপ্রেমীরা।