এরকম একটি সার হল DAP৷ এতে নাইট্রোজেন এবং ফসফরাস উভয়ই থাকে। পাতা ও কান্ডের বৃদ্ধির জন্য নাইট্রোজেন অপরিহার্য, অন্যদিকে মূল, ফুল ও ফলের যত্ন নেয় ফসফরাস। DAP-এর ব্যবহারে ফসলের ফলন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন : বর্ষায় কীভাবে ফসলের খেয়াল রাখবেন কৃষকরা? এই টিপসগুলি মেনে চললেই কেল্লাফতে
advertisement
তবে বাজারে নকল মালের অভাব নেই৷ তাই কৃষকদের DAP কেনার সময় বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি৷
জেলা কৃষি দফতরের কর্তা বিকাশ কিশোর স্থানীয় 18-কে বলেন যে, DAP মাটির গুণমান উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি মাটিতে ফসফরাসের পরিমাণ বাড়ায়, যা মাটিকে আরও উর্বর করে তোলে। ডিএপিতে নাইট্রোজেন ও ফসফরাসের অনুপাত ডাল ও তৈলবীজ ফসলের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। এটি গাছপালাকে সুস্থ রাখে এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন : ১৫ বছরের চাকরি এবং শেষ বেতন ৭৫,০০০ টাকা হলে কত গ্র্যাচুইটি পাবেন? এই ফর্মুলায় চেক করুন
সার কেনার সময় যে কাজগুলো অবশ্যই করবেন
⦁ শুধু DAP নয়, যে কোনও সার কেনার সময় কৃষকদের অবশ্যই রশিদ নিতে হবে।
⦁ সার বা কীটনাশক শুধুমাত্র একটি ভালো দোকান থেকেই কিনুন।
⦁ সার কেনার সময় POS মেশিনের মাধ্যমে রসিদ নিন। কারণ, কৃষি দপ্তরের কাছে POS মেশিন থেকে বিক্রি হওয়া সারের সম্পূর্ণ বিবরণ রয়েছে। এতে দেখা যায় কোন কৃষক কোন দোকান থেকে কোন পরিমাণ সার কিনেছেন এবং কোন কৃষক তার ক্ষেতে কোন ব্যাচ নম্বরের সার ব্যবহার করেছেন।
⦁ এই অবস্থায় কোনও কৃষকের কাছে নকল সার বিক্রি হলে এবং সেটি নিয়ে কোনও কৃষক অভিযোগ জানালেন, কৃষি দপ্তর নকল সার বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে সহজেই ব্যবস্থা নিতে পারবে৷
কিভাবে আসল DAP বেছে নেবেন? বিকাশ কিশোরের মতে কৃষকরা মাঠে চাষ করার সময়ই সারের গুণমানের ব্যাপারে একটা ধারণা পেয়ে যান। তবে এরপরও সমস্যা থাকে, তাই এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন…
⦁ DAP শক্ত দানাদারের মতো হয়৷
⦁ এর রঙ বাদামী বা কালো হতে পারে।
⦁ DAP নখ দিয়ে সহজে ভাঙা যায় না।
⦁ হাতে কিছু DAP-এর দানা নিয়ে তার মধ্যে সামান্য চুন যোগ করে ভালো করে মিশিয়ে নিন৷ তৈরি হবে তীব্র-উগ্র গন্ধ৷ যা সহ্য করা কঠিন৷
⦁ উনুনে কম আঁচে DAP দানাগুলি গরম করতে দিলে সেগুলি ফুলে যাবে এই লক্ষণগুলি থাকলেই বুঝতে হবে DAP-তে ভেজাল নেই।