পেট রকের গল্প
১৯৭৫ সালের এক বিকেল। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন গ্যারি ডেহল। সঙ্গে ছিল তাঁর পোষ্য কুকুর। কথায় কথায় পোষ্যর সঙ্গে পাথরের তুলনা করেছিলেন গ্যারি। মজা করে বলেছিলেন, ওর চেয়ে একটা পাথরও ভাল। গ্যারি আসলে বিজ্ঞাপন সেক্টরে কাজ করতেন। আড্ডা শেষে নদীর তীর ধরে হাঁটতে হাঁটতে কী মনে হয়, হাতে পাথর কুড়িয়ে নেন গ্যারি। ভাবেন এগুলো বিক্রি করলে কেমন হয়!
advertisement
যেমন ভাবা, তেমনি কাজ।শুরু হল নদীর তীরে পড়ে থাকা পাথর বিক্রি। দুর্দান্ত প্যাকেজিং করে ৪ ডলার দামে সেই পাথর বাজারে লঞ্চ করলেন গ্যারি। সঙ্গে ৩২ পাতার মজাদার ম্যানুয়েল। বাজারে আসামাত্রই হটকেকের মতো বিক্রি শুরু হল সেই পাথর। প্রায় ১ মিলিয়ন প্যাক পাথর বিক্রি করেছিলেন গ্যারি। এক বছর পর যখন মানুষ বুঝল, এটা একটা সাধারণ পাথর, তখন বিক্রিতে ভাটা পড়ল। কিন্তু তত দিনে গ্যারি কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, পাথর বিক্রির সেই টাকায় তিনি অন্য ব্যবসাও শুরু করেছেন।
পেট রক কিনতে মানুষ হামলে পড়েছিল
পরবর্তী কালে মানুষের এমন ‘পাথর প্রেমের’ কারণ জানতে অনেক গবেষণা হয়। বোঝা যায়, পাথরের কারণে নয়, গ্যারির উপস্থাপনা এবং ম্যানুয়ালে যা লেখা ছিল, তার প্রভাবেই এমন বিক্রি। সেই শব্দগুলোই মন ছুঁয়ে যায় ক্রেতাদের। ৪ ডলার দিয়ে মানুষ শুধু পাথর কেনেইনি, এমনকী অন্যদেরও তা কেনার জন্য উৎসাহ দিয়েছে।
আরও পড়ুন, উন্নয়ন ইস্যুকে সামনে রেখেই ভোট প্রচারে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা
আরও পড়ুন, ধর্মতলায় অশান্তি! নওশাদ-সহ ১৯ জনের জামিনের আর্জি খারিজ করল ব্যাঙ্কশাল আদালত
ক্রিপ্টোকে পেট রকের সঙ্গে তুলনা কেন
সেই পেট রকই আবার শিরোনামে। আসলে জেপি মরগানের সিইও জেমি ডিমন ক্রিপ্টোকে পেট রকের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁর মতে, ক্রিপ্টো নিজে থেকে কিছু করে না। তাকে দিয়ে করাতে হয়। অনেকটা পেট রকের মতো।