এই অ্যাসেটকে আয়কর আইনে ঢোকানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর জন্য নতুন একটি ধারা যোগ করা হয়েছে। সেটা হল ৪৭এ। এই ধারা অনুযায়ী, ভার্চুয়াল অ্যাসেট হচ্ছে, কোনও কোড বা নম্বর বা টোকেন (ভারতীয় মুদ্রা কিংবা কোনও বিদেশি মুদ্রা নয়), যা কোনও ক্রিপ্টোগ্রাফিক পদ্ধতির মাধ্যমে তৈরি অথবা অন্য কোনও ভাবে তৈরি। তার নাম যা-ই হোক না কেন, সেটির অস্তিত্ব ডিজিটালে, যার মূল্য রয়েছে, স্বাভাবিক ভাবে বিনিময় মূল্যও রয়েছে। অর্থনৈতিক লেনদেন করা হয়ে থাকে। সঞ্চয় করে রাখা যায়। সবটাই হয়ে থাকে ইলেকট্রিনিক ভাবে।
advertisement
নয়া নিয়ম
১। ভার্চুয়াল ডিজিটাল অ্যাসেট থেকে অর্জিত আয়ের উপর ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে (কোনও স্ল্যাব হারের সুবিধা ছাড়াই)। তার উপর সারচার্জ (আয়ের উপর নির্ভর করে) এবং সেস প্রযোজ্য হবে।
২। উল্লিখিত আয় গণনা করার সময় কোনও ব্যয় (অধিগ্রহণের খরচ ব্যতীত) বা ভাতা সংক্রান্ত কোনও ছাড় পাওয়া যাবে না।
৩। যদি ভার্চুয়াল বিনিয়োগ থেকে বিনিয়োগকারী ক্ষতির সম্মুখীন হন, তা হলে তা অন্য কোনও আয়ের থেকে বাদ দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন-পরিকল্পনা করেও আর্থিক লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না? এই বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখুন
ভার্চুয়াল ডিজিটাল অ্যাসেটের করযোগ্যতা নির্ধারণ করার সময় যে সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে-
১। ভার্চুয়াল ডিজিটাল অ্যাসেটের মতো সম্পদের উৎস ভারতীয় নাকি বিদেশি তা নির্ধারণ করতে হতে পারে। এক্ষেত্রে বিচারক বা আইন ব্যবস্থার সাহায্য নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
২। ডিটিএএ-এর বিধানগুলি বিশ্লেষণ করার জন্য, মূলধন সম্পদ বা স্টক-ইন-ট্রেড হিসাবে ভিডিএ-এর বৈশিষ্ট্য জানারও প্রয়োজন হবে।
৩। যেহেতু এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ভার্চুয়াল ডিজিটাল অ্যাসেটের ক্রয় বিক্রিয় হচ্ছে তাই টিডিএস-এর বিধানগুলি মেনে চলা কার্যত কঠিন। কারণ ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ কাউকে চেনেন না।
৪। ভার্চুয়াল ডিজিটাল অ্যাসেটের বাজার অস্থির। তাই ন্যায্য বাজারমূল্য নির্ধারণের জন্য স্বচ্ছ নির্দেশিকা অথবা নিয়ম জারি করা আবশ্যক।
এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিজিটাল সম্পদের ক্রমবর্ধমান বাজার ধরতে কিছু কেন্দ্রের আইনে কিছু সংশোধনী প্রয়োজন। তবেই রাজস্ব আয় বাড়াতে পারবে সরকার।