কী ঘটেছে?
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার। সাইবার হামলার শিকার হয় পলি নেটওয়ার্ক (Poly Network)। এর পর সংস্থাটির তরফে হ্যাকারদের টাকা ফেরতের জন্য অনুরোধ করা হয়। পরিবর্তে তাদের অর্থমূল্য পুরষ্কার দেওয়ার ঘোষণা করে সংস্থা। যদিও হ্যাকারদের দলটি জানিয়ে দেয়, তারা কোনও রকম অর্থ নেবে না। কারণ অর্থ নেওয়া তাদের লক্ষ্য নয়। এর পর দু'-দিন পরে পলি নেটওয়ার্ক হারানো অর্থমূল্যের বেশ কিছুটা অংশ ফেরত পায়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী গতকাল সকাল পর্যন্ত ৩৪ কোটি ডলার ক্রিপ্টোকয়েন ফেরত পেয়েছে পলি নেটওয়ার্ক।
advertisement
এবিষয়ে পলি নেটওয়ার্কের তরফে জানানো হয়েছে, তারা পুরো অর্থ ফেরানোর কাজ করছে। খুব তাড়াতাড়ি পুরো টাকা ফিরে আসবে বলে জানিয়েছে তারা। লন্ডনের একটি ব্লকচেন বিশেষজ্ঞ টম রবিনসন জানিয়েছেন, “কিছু ক্রিপ্টোটোকেন এখনও হ্যাকারদের কাছে জমা হয়ে আছে। কারণ ওই টোকেনের লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
এবিষয়ে তাঁর বক্তব্য, ব্লকচেন প্রযুক্তির জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করা কঠিন। এই পদ্ধতিতে কোথা থেকে অর্থ গিয়ে কোথায় জমা হচ্ছে তা সবার নজরে আসবে। এর পর হ্যাকারদের দোষারোপ করে টমের যুক্তি, হ্যাকাররা বুঝতে পেরেছে কোথায় অর্থ জমা হচ্ছে তা সবাই বুঝে যাবে আর সে কারণে তা ফেরত দিতে চাইছে।
ব্লকচেন কী?
ব্লকচেন হল অনেকটা ডিজিটাল স্টেটমেন্টের মতো। যেখানে বিটকয়েনের বা ডিজিটাল মুদ্রায় হওয়া সমস্ত লেনদেন লিপিবদ্ধ থাকে।
যদিও পলি নেটওয়ার্কের পুরষ্কার ঘোষণার পর বিতর্ক শুরু হয়। BBC-র খবর অনুযায়ী এবিষয়ে একজন প্রাক্তন FBI অফিসার জানিয়েছেন বেসরকারি সংস্থাগুলোর কোনও অধিকার নেই যে তারা কোনও অপরাধীদের জন্য পুরষ্কার ঘোষণা করবে।
হ্যাকার দলটির তরফে বলা হয়েছে, তাদের উদ্দেশ্য ছিল পলি নেটওয়ার্কে যে নিরাপত্তাজনিত ত্রুটি রয়েছে তা প্রকাশ্যে আনা। এবং তাতে তারা সফল হয়েছে বলে মনে করছে। তাদের আরও দাবি, পলি নেটওয়ার্ক কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে পুরো ঘটনার জন্য তাদের দায়ি করা হবে না। কারণ তাদের আচরণ হোয়াইট হ্যাট হ্যাকারদের মতো।