ভারতীয় বাজারের কথা মাথায় রেখে সরকার বর্তমানে চাল, গম এবং চিনির মতো পণ্যের রফতানি নিষিদ্ধ করেছে। এ-ছাড়া, মুদ্রাস্ফীতি বাড়লে রিজার্ভ ব্যাঙ্কও সুদের হার বৃদ্ধি করতে পারে।তবে বেশির ভাগ জায়গায় ধানের ফলন সবচেয়ে খারাপ হয়েছে। ধান উৎপাদনে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ।
আরও পড়ুন : বাড়তে চলেছে সোনার দাম? সোনায় কতটা বিনিয়োগ করবেন? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
advertisement
এই রাজ্যে অক্টোবর মাসে সাধারণের তুলনায় ৫ গুন বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এ-ছাড়া মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা এবং রাজস্থানের মতো রাজ্যেও বৃষ্টির জন্য ফসল খারাপ হয়েছে। এর আগে জুন-জুলাই মাসেও বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছিল।
দক্ষিণ ভারতে কম বৃষ্টি:
ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের এক জন উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন যে, চলতি সপ্তাহে দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে দক্ষিণাঞ্চলে সাধারণ বা গড় বৃষ্টিপাত দেখা যাবে। দেশের প্রধান ধান উৎপাদনকারী রাজ্যগুলিতে বর্ষার শুরুতে কম বৃষ্টি হলেও এখন বেশি বৃষ্টি হচ্ছে, আর যার ফলে নষ্ট হচ্ছে ফসল। উত্তরপ্রদেশে বেশি বৃষ্টিপাতের কারণে ধানের ফলনে গুরুতর প্রভাব পড়েছে।
আরও পড়ুন : বাতিল হয়েছে বিপুল সংখ্যক ট্রেন, চেক করে নিন বাতিল হওয়া ট্রেনের লিস্ট
খাদ্যশস্যের দাম বেড়ে যাবে:
মুম্বইভিত্তিক একটি বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়িক সংস্থার এক জন কর্মী জানিয়েছেন যে, খাদ্যপণ্যের দাম ইতিমধ্যেই বাড়তে শুরু করে দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং রফতানিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধি কমাতে আরবিআই রেপো রেট বৃদ্ধি করেছে, যার প্রভাব পড়ছে সুদের হারের উপর। প্রসঙ্গত এই পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ১.৯০ শতাংশ রেপো রেট বৃদ্ধি করেছে।
ধানের উৎপাদন ৬ শতাংশ কম হবে বলে আশঙ্কা:
কৃষি মন্ত্রণালয় সম্প্রতি তথ্য প্রকাশ জানিয়েছে, এই বছর দেশে ধানের উৎপাদন ৬ শতাংশ কমে ১০ কোটি ৪৯ লাখ টন হবে। অন্য দিকে মোট ফসলের উৎপাদন ১৪৯২ মিলিয়ন টন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে এমনটা হবে বলে অনুমান করা হয়েছিল। সেখানে বর্তমানে বৃষ্টি সাধারণের তুলনায় বেশি হতে শুরু করেছে বলে ফলনে পতন দেখা যাচ্ছে।