আরবিআই-এর পর্যবেক্ষণে না থাকার কারণেই মহারাষ্ট্রের PMC ব্যাঙ্কে এত বড় দুর্নীতি হয় বলে মনে করা হচ্ছে ৷ এতদিন পর্যন্ত কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল RBI এর কোঅপারেটিভ সুপারভাইজারি টিমকে ৷ কিন্তু সাধারণত কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক ছোট অঙ্কের লোন দিয়ে থাকে ৷ এর জেরে এই সেকশন কম সক্রিয় থাকে ৷ ফলে একাধিকবার দুর্নীতির কথা জানতেই পাওয়া যায় না ৷ ছোট কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের অডিট ১৮ মাসে একবার হয়ে থাকে ৷ কিন্তু PMC-এর মতো বড় ব্যাঙ্কের অডিট বছরে একবার হয়ে থাকে ৷
advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে এর জেরে গ্রাহকদের সুবিধা হতে চলেছে ৷ এবার কোনও ব্যাঙ্ক ডিফল্ট করলে ব্যাঙ্কে জমা গ্রাহকদের ৫ লক্ষ পর্যন্ত টাকা সুরক্ষিত থাকবে ৷ কারণ পয়লা ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী এই টাকার অঙ্ক ১ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করেছেন ৷ অর্থাৎ, কোনও ব্যাঙ্ক ডুবে গেলে গ্রাহকদের যত টাকাই জমা থাক, তাঁরা ৫ লক্ষের বেশি টাকা পাবেন না ৷ একই ব্যাঙ্কের সমস্ত ব্রাঞ্চের টাকা ও সুদ মিলিয়ে মাত্র ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে ৷
কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক আরবিআই-এর পর্যবেক্ষণে আসলে সুবিধা হবে গ্রাহকদের ৷ প্রথমত, তাঁরা নিশ্চিত থাকতে পারবে যে তাঁদের টাকা সুরক্ষিত রয়েছে ৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঠিক করবে এই ব্যাঙ্কের টাকা কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে ৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অধিনে থাকায় তার নিয়ম মেনে চলতে হবে ৷ পাশাপাশি এই ব্যাঙ্কগুলিকেও তাদের কিছু টাকা রির্জাভ ব্যাঙ্কের কাছে রাখতে হবে ৷ এর জেরে ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে ৷ সরকারের এই সিদ্ধান্তে দেশের নাগরিকদের কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের উপর বিশ্বাস আরও বাড়বে ৷