TRENDING:

Branded Cloth at Cheap Price: ৩ হাজার টাকার ব্র্যান্ডেড শার্ট বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে ৮০ পয়সায়! কীভাবে হচ্ছে সম্ভব?

Last Updated:

বড় ব্র্যান্ডের শার্ট বা টি-শার্ট অনেক দাম দিয়ে কেনেন, কোথায় এগুলো তৈরি হয় জানেন? শুধু তাই নয়, এসব ব্র্যান্ডের জামা-কাপড় ও টি-শার্টের দাম জানলে বিশ্বাস করতে পারবেন না।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ঢাকা: বিশ্বের সেরা ব্র্যান্ডের পোশাক শুধুমাত্র বাংলাদেশেই তৈরি হয়। যা বিক্রি হয় প্রচুর দামে৷ তবে এগুলো তৈরি করতে কত টাকা লাগে বা কর্মীদের পারিশ্রমিকই বা কত? আপনি ধারনাও করতে পারবেন না৷ কারণ যে কারিগররা এগুলো তৈরি করেন তারা ঘণ্টায় ১০ টাকাও পান না। এমন পরিস্থিতিতে একটি টি-শার্ট তৈরির মজুরি প্রায় ৮০ পয়সা! অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি৷
advertisement

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। রাস্তার দুপাশে উঁচু সীমানা, প্রাচীরের আড়ালে বিলাসবহুল বাংলো৷ এতে বসবাসকারীদের আরামের কোনও অভাব নেই৷ এ হল এক প্রকারের মানুষ৷ অন্যদিকে, অন্য পৃথিবী হল চার হাজারেরও বেশি তৈরি পোশাক কারখানার চারপাশে ক্রমবর্ধমান বস্তিতে বসবাসকারী লাখ লাখ শ্রমিক এবং ক্ষুদ্র কারিগরদের। ঢাকা ৪০ লাখেরও বেশি শ্রমিক ও ক্ষুদ্র কারিগরের শহর। প্রতিদিন হাজার হাজার নতুন নাম যুক্ত হচ্ছে এই শহরে শ্রমিকের সংখ্যায়। বিশ্বের সবচেয়ে কম মজুরির শহর ঢাকা।

advertisement

আরও পড়ুনActress Who Married Villains: কপালে জোটেনি হিরো! বলিউড ভিলেনদের বিয়ে করেছেন যে ৪ নামী অভিনেত্রীরা, চিনুন তাঁদের

বিশ্বের বড় বড় রেডিমেড ব্র্যান্ডের পোশাক বাংলাদেশে তৈরি হয়। এসব কারখানা ঢাকা, চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় রয়েছে। এখানে উৎপাদিত টি-শার্ট, সোয়েটার, ট্রাউজার, পুরুষ ও মহিলাদের শার্ট বিশ্বের প্রতিটি জায়গায় সরবরাহ করা হয়। প্রতিদিন এখানে সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি কারখানায় লাখ লাখ টি-শার্ট তৈরি হয়।

advertisement

প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশে বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা শ্রমিক রয়েছে। এটি ব্র্যান্ডের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। বিদেশে হাজার হাজার টাকায় বিক্রি হওয়া এসব পোশাক তৈরির বাংলাদেশি কারিগর ও শ্রমিকরা একটি শার্ট তৈরির জন্য এক টাকাও পান না। বিশ্বের সবচেয়ে বড় রিটেইল ব্র্যান্ড ওয়ালমার্ট, ব্রিটেনের প্রাইমার্ক, ইতালির রালফ লরেন ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশকে দেওয়া অর্ডার বাড়াচ্ছে।

advertisement

বেশ কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে চিনকে পেছনে ফেলে দেবে বাংলাদেশ। তবে ২০২০ সালে করোনা সারা বিশ্বে রপ্তানিসহ সব ব্যবসার গতি থমকে দিয়েছে। বাংলার বস্ত্রশিল্প সারা বিশ্বে বিখ্যাত ছিল। তারপর ইংরেজরা তাদের ব্যবসার প্রসারের জন্য বাংলার শিল্প ধ্বংস করে।

আরও পড়ুনNew Scooter: TVS নিয়ে এল নয়া টু হুইলার, শক্তিশালী ইঞ্জিন-ডিস্ক ব্রেক, বাইক যেন চলবে হাওয়ায়! দাম জানুন

advertisement

একসময় ব্রিটিশরা ম্যানচেস্টারে তৈরি সস্তা, হালকা মানের কাপড় দিয়ে ভারতীয় বাজারগুলিকে ভরিয়ে দিয়েছিল। ফলস্বরূপ, বাংলার মসলিন ও রেশম কারিগররা তাদের পরিবারের ভরণপোষণের জন্য অন্যান্য কাজ শুরু করেন। একদিকে বাংলাদেশের বস্ত্র শিল্প ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে ম্যানচেস্টারের টেক্সটাইল কারখানা ও তৈরি পোশাক শিল্পে তালা লাগানো হয়েছে।

Walmart, H&M, Hugo Boss, Tommy Hilfiger, Primark, Benetton, Gap, Ripley, G Star Row, Giorgio Armani, Calvin Klein, Puma, Ralph Roulen এর পোশাক বাংলাদেশে তৈরি হয়। এবার আসুন এই শিল্পের অর্থনীতিকে বুঝি। আসলে এক কেজি তুলো দিয়ে চার থেকে পাঁচটি টি-শার্ট তৈরি করা হয়। এক কেজি বাংলাদেশি তুলার দাম প্রায় ৩২০টাকা। একই সময়ে, আমেরিকান তুলা প্রায় ৪৫১ এ পাওয়া যায়। এতে পলিয়েস্টার ও ভিসকস মেশানো হয়। বাংলাদেশে এক ঘণ্টার মজুরি প্রায় ৯ টাকা। একটি টি-শার্টের মোট মূল্য ১৩১টাকা থেকে ৪৯২পর্যন্ত। বাংলাদেশের কারখানার মালিকরা একটি টি-শার্টে প্রায় ১১ টাকা লাভ করেন। একই সময়ে, কোম্পানিগুলি বিদেশী বাজারে বিক্রি করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করে।

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Branded Cloth at Cheap Price: ৩ হাজার টাকার ব্র্যান্ডেড শার্ট বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে ৮০ পয়সায়! কীভাবে হচ্ছে সম্ভব?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল