শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব সুমিতা দাওরা জানিয়েছেন, ক্লেম প্রসেসিংয়ে ইউপিআই-কে যুক্ত করা হচ্ছে। এই ব্যবস্থা চালু হলে, এক ক্লিকেই টাকা সরাসরি গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। তিনি জানান, বর্তমানে ইপিএফও-এর প্রায় ৭.৫ কোটি সদস্য রয়েছে। তাঁদের জন্য কেন্দ্রীভূত ডাটাবেস তৈরি করা হয়েছে, যা পুরো ব্যবস্থাকে আরও সহজ করে দেবে।
advertisement
আরও পড়ুন: এই ৯টি জিনিস মেনে চলুন, আপনার সমস্ত আর্থিক লক্ষ্য পূরণ হবেই
শ্রম সচিব বলেন, “পরবর্তী ধাপে ইউপিআইকে সিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।” এই নিয়ে এনপিসিআই (ভারতীয় জাতীয় পেমেন্ট কর্পোরেশন) পরামর্শ দিয়েছে এবং ইপিএফও-এর বিবেচনার জন্য ইউপিআই ইন্টিগ্রেশনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। দাওরা আরও জানিয়েছেন, সদস্যদের সুবিধার জন্য ডিজিটালাইজেশন থেকে অটোমেশন পর্যন্ত বিভিন্ন প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করছে যে ইপিএফও। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমরা এই বিষয়ে বড় পদক্ষেপ নিয়েছি। ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্লেমের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অটোমেট করা হয়েছে।” পাশাপাশি, গ্রাহক নিজেরাই নিজেদের ভুল সংশোধন করতে পারবেন। বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও ডাটাবেস ইন্টিগ্রেট করায় ক্লেম প্রসেসিংয়ের সময় লাগবে মাত্র ৩ দিন।
আরও পড়ুন: মহিলাদের সঞ্চয়ের জন্য সত্যিই দুর্দান্ত এই স্কিমটি, আপনি বিনিয়োগ করেছেন তো ?
জুনের মধ্যেই ইউপিআই পেমেন্ট চালু হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শ্রম সচিব। তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় পরীক্ষার পর মে মাসের শেষদিকে ইপিএফও ক্লেম ডিস্ট্রিবিউশনে ইউপিআই পরিষেবা ব্যবহার করা যাবে। এতে সমস্ত সদস্য উপকৃত হবেন। ইপিএফও অ্যাকাউন্ট সরাসরি ইউপিআই ইন্টারফেসে দেখা যাবে। সেখান থেকেই অটোমেটিক ক্লেম করতে পারবেন গ্রাহক।
নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করলে ক্লেম অনুমোদনের প্রক্রিয়াও দ্রুত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। টাকা সরাসরি গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। দাওরা আরও বলেন, “কেন্দ্রীভূত ডাটাবেস পুরোপুরি ঠিক করতে দুই-তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। এরপরই ইউপিআই ইন্টিগ্রেশনের কাজ শুরু হবে।”
দাওরা জানিয়েছেন, “ইপিএফও-তে বর্তমানে ৭৮ লাখ পেনশনভোগী রয়েছেন। আগে মাত্র কয়েকটি ব্যাঙ্ক থেকেই পেনশন দেওয়া হত। তবে গত বছর আমরা এই বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরামর্শ নিই। এখন কেন্দ্রীভূত পেনশন ব্যবস্থা (Centralized Pension System) চালু করেছি।” পেনশনভোগীরা এখন যে কোনও ব্যাঙ্ক থেকে সহজেই তাঁদের পেনশন তুলতে পারবেন।