এলন মাস্ক ট্যুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই আপাতত সিইও পরাগ আগরওয়াল এবং ফিনান্স প্রধান নেড সেগাল কোম্পানির সান ফ্রান্সিসকো সদর দফতর ছেড়ে গিয়েছেন। সূত্র মারফত শোনা যাচ্ছে তাঁদের ফিরে আসার সম্ভবনাও প্রায় নেই বললেই চলে। ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, আইনি নীতি, ট্রাস্ট এবং নিরাপত্তার প্রধান বিজয়া গাড্ডেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।
এই শুক্রবার পর্যন্ত সময়সীমা ছিল মাস্কের হাতে, হয় ৪৪ বিলিয়ন ডলারে ট্যুইটার অধিগ্রহণ করতে হবে, নয় তো কোম্পানির সঙ্গে আদালতের লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এপ্রিলে ট্যুইটার কেনার এবং এই সোশ্যাল মিডিয়া সাইটকে ব্যক্তিগত দখলে নেওয়ার জন্য মাস্কের প্রস্তাব গ্রহণ করে কোম্পানি। মাস্ক যদিও চুক্তি মানবেন কি না সে সম্পর্কে সন্দেহের বীজ পুঁতে দেন সবার মনে। অভিযোগ করেন যে ট্যুইটার তার পরিষেবাতে স্প্যাম এবং জাল অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ঠিকঠাক ভাবে প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন- জেলায় জেলায় শীতের আমেজ সকালে, আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জেনে নিন
মাস্ক যখন বলেছিলেন যে তিনি চুক্তিটি বাতিল করছেন, তখন ট্যুইটার এই বিলিয়নিয়ারের বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত করেছিল। অভিযোগ ছিল যে, তিনি "ট্যুইটার এবং এর স্টকহোল্ডারদের প্রতি বাধ্যবাধকতা মানতে অস্বীকার করেছেন।" পরবর্তী সময়ে, ট্যুইটার এবং মাস্ক তাদের আইনজীবীদের মাধ্যমে ব্যাপারটাকে কোর্টে নিয়ে যেতে চায়। কোম্পানির ভাগ্য নির্ধারণ করতে দুই পক্ষের ডেলাওয়্যার কোর্ট অফ চ্যান্সারিতে যাওয়ার কথা ছিল।
অক্টোবরের শুরুতে, মাস্ক উল্টো পথে হাঁটেন। তিনি বলেছিলেন যে ট্যুইটার তার মামলা-মোকদ্দমা বাদ দিলে তিনি শেয়ার প্রতি ৫৪.২০ ডলার মূল্যে ট্যুইটার অধিগ্রহণ করতে চান। ট্যুইটারের আইনজীবীদের বক্তব্য ছিল যে, টেসলার সিইওর এই "প্রস্তাব আসলে দেরি করানোর জন্য।" ডেলাওয়্যার চ্যান্সেরি আদালতের বিচারক যদিও রায় দেন যে ট্যুইটার চুক্তি বিচারের জন্য মাস্কের হাতে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সময় আছে।
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি কলকাতায় আরএসএস-বঙ্গ বিজেপি বৈঠক
বৃহস্পতিবার, মাস্ক বিজ্ঞাপনদাতাদের আশ্বস্ত করা র উদ্দেশ্যে সামাজিক মাধ্যমে একটি বার্তা লিখেছিলেন। জানিয়েছিলেন- সামাজিক বার্তাপ্রেরণ পরিষেবাগুলি ‘‘সকলের জন্য বিনামূল্যের নরকে পরিণত হবে না, যেখানে কোনও পরিণতি ছাড়াই কিছু বলা যাবে!আমার ট্যুইটার অধিগ্রহণ করার কারণ হল সভ্যতার ভবিষ্যতের জন্য একটি ডিজিটাল টাউন স্কোয়ার বানানো, যেখানে হিংসা ছাড়াই, স্বাস্থ্যকর উপায়ে বিতর্ক করা যেতে পারে ৷ ’’ মাস্ক বার্তায় বলেছিলেন। তিনি আরও বলেন, ‘‘বর্তমানে একটি বড় বিপদের সামনে দাঁড়িয়ে আমরা, যেখানে সোশ্যাল মিডিয়া দূর-ডানপন্থী এবং অতি বামপন্থীতে বিভক্ত হয়ে আছে। ভবিষতে যা আমাদের সমাজকে আরও বিভক্ত করবে ৷’’