কর্মচারী ভবিষ্যৎ নিধি প্রকল্পে সারা দেশে কোটি কোটি অ্যাকাউন্ট হোল্ডার রয়েছে। ইপিএফও অ্যাকাউন্টধারীদের আমানতের উপর সুদ প্রদান করে। এ-ছাড়াও, পেনশন স্কিমের অধীনে ন্যূনতম ১,০০০ টাকা পেনশন দেওয়া হয়।
আদালত পেনশন তহবিলে যোগদানের জন্য ন্যূনতম পেনশনযোগ্য মাসিক বেতনের সীমা ১৫,০০০ টাকা বাতিল করেছে। যা ২০১৪ সালের সংশোধনীতে সর্বোচ্চ পেনশনযোগ্য বেতনের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল (মূল বেতন এবং মহার্ঘ ভাতা-সহ)। উল্লেখ্য, সংশোধনের আগে সর্বোচ্চ পেনশনযোগ্য বেতন ছিল প্রতি মাসে ৬,৫০০ টাকা।
advertisement
পেনশন নীতির আওতায় থাকা কর্মচারীদের মূল বেতনের ১২ শতাংশ প্রভিডেন্ট ফান্ডে যায়, যেখানে কোম্পানি ১৫,০০০ টাকার শেয়ারের ১২ শতাংশের ৮.৩৩ শতাংশ পেনশন স্কিমে দেয়। এ-ছাড়াও, ১.১৬ শতাংশ সরকারও পেনশন তহবিলে অবদান রাখে।
বিষয়টি ঠিক কী?
বেসিক স্যালারি এবং ডিএ মিলিয়ে যে পরিমাণ অর্থ হয়, তার ১২ শতাংশই কোম্পানি পিএফ-এ দেয়। এখানে প্রযুক্তিগত কৌশলটি হল, যদি এক জনের মূল বেতন এবং ডিএ একসঙ্গে ১৫,০০০ টাকার বেশি হয়, তাহলে কোম্পানির প্রতিলিপিকৃত অবদানে যে ১৫,০০০ টাকা দিতে হবে তার ৮.৩৩ শতাংশ পেনশন তহবিলে দেওয়া হয়।
কী সুবিধা হবে?
পেনশন তহবিলে যোগদানের জন্য ১৫,০০০ টাকা মাসিক বেতনের সীমা বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। যদি কারও ইপিএফও অ্যাকাউন্ট থাকে, তা-হলে কর্মরত ব্যক্তি তাঁর বেতনের ১২ শতাংশ পিএফ হিসাবে জমা করেন। বিনিময়ে তাঁর কোম্পানিও তাঁকে একই পরিমাণ টাকা দেয়। কিন্তু এই পরিমাণে, ১৫০০০ টাকার মাত্র ৮.৩৩ শতাংশ পেনশন তহবিলে যায়। এই পরিস্থিতিতে যদি ১৫ হাজারের সীমা অপসারণ করা হয় এবং মূল বেতন ও ডিএ-সহ ২০ হাজার টাকা হয়ে যায়, তাহলে পেনশনে অবদান এবং পেনশনের পরিমাণও বাড়বে। তবে এর জন্য কর্মচারী ও কোম্পানির সম্মতির প্রয়োজন হয়।