ডিওপিটি ২৮ অক্টোবর জারি করা বিবৃতিতে স্পষ্ট জানিয়েছে, একইসঙ্গে দুটি জরিমানা করা হতে পারে। তবে কর্তৃপক্ষকে আদেশনামায় গোটা বিষয়টি স্পষ্টভাবে লিখতে হবে। জানাতে হবে, একজন কর্মচারীকে একই সঙ্গে দুটি জরিমানা দিয়ে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে এবং উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে। তবে একটা শেষ হওয়ার পর আরেকটা প্রযোজ্য হতে পারে। এছাড়া সেই কর্মীর উপর আগের কোনও শাস্তি কার্যকর হয়েছে কি না সে কথাও স্পষ্টভাবে লিখে জানাতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: দৈনিক ১০০ টাকারও কম বিনিয়োগ করে হয়ে যেতে পারেন লাখপতি!
সাজা কীভাবে বাস্তবায়িত হবে: কর্মী বিভাগ বলেছে যে কর্তৃপক্ষ যদি তার আদেশে এটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ না করে তবে উভয় শাস্তি একসঙ্গে প্রযোজ্য হবে এবং একই সঙ্গে চলবে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে প্রদত্ত আদেশটি যদি বড় জরিমানা সহ হয়ে থাকে, তবে তা পূর্বের আদেশের উপর অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে, যদি পূর্বের আদেশের মেয়াদ অবশিষ্ট থাকে তবে তাও কার্যকর হবে। প্রসঙ্গত, এটা ছাড়াও সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে কর্মীদের জন্য একাধিক নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনেকদিনই বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, ব্রাঞ্চে যাওয়ার আগে দেখে নিন ছুটির লিস্ট
তাহলে পেনশন, গ্র্যাচুইটি মিলবে না?
এর আগে ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় সরকার সিসিএস (পেনশন) নিয়মে পরিবর্তন করেছিল। সেই নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও কেন্দ্রীয় কর্মচারী তাঁর চাকরির সময়ে গুরুতর অপরাধ বা অবহেলার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন, তবে তাঁর পেনশন বা গ্র্যাচুইটি বা উভয়ই আটকে রাখা হতে পারে। ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের হাতে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীর পেনশন এবং গ্র্যাচুইটি বন্ধ করার অধিকার থাকবে।
যাতায়াত ভাতার নিয়মে স্বস্তি:
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ভ্রমণ ভাতা সংক্রান্ত নিয়মেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে উত্তর-পূর্ব অঞ্চল, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ বা আন্দামান ও নিকোবরে বিমান ভ্রমণের জন্য সিসিএস (লিভ ট্রাভেল কনসেশন) বিধিমালা ১৯৮৮-এর অধীনে কর্মচারীদের ছাড় দেওয়া হবে। এর অধীনে, কেন্দ্রীয় কর্মীরা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত এই সুবিধা নিতে পারবেন।