দৈনিক ১০০ টাকারও কম বিনিয়োগ করে হয়ে যেতে পারেন লাখপতি!

Last Updated:

১৯ বছর থেকে ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত ভারতীয় নাগরিকরা এই স্কিমের সুবিধা নিতে পারেন।

#কলকাতা: ভারতীয় ডাক বিভাগ বা পোস্ট অফিসের কম সঞ্চয়ের যোজনা খুবই জনপ্রিয়। কারণ এই সকল যোজনায় বিনিয়োগ সব সময় সুরক্ষিত তো থাকেই, সেই সঙ্গে অত্যন্ত ভাল পরিমাণ টাকা রিটার্নও পাওয়া সম্ভব।
ভারতীয় ডাক বিভাগের এমনই একটি জনপ্রিয় যোজনা হল সুমঙ্গল রুরাল পোস্টাল লাইফ ইন্সুরেন্স স্কিম। ১৯ বছর থেকে ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত ভারতীয় নাগরিকরা এই স্কিমের সুবিধা নিতে পারেন। এই পলিসি কেনার ক্ষেত্রে ন্যূনতম এবং সর্বোচ্চ বয়সের একটা সীমা রয়েছে। আর এতে নিশ্চিত রূপে ১০ লক্ষ টাকা পাবেন পলিসিধারকরা। যদি কোনও পলিসিধারকের মৃত্যু হয়, সে-ক্ষেত্রে পলিসির মেয়াদ শেষে তাঁর পরিবারের হাতে বোনাস-সহ মোট পরিমাণ টাকা তুলে দেওয়া হয়।
advertisement
advertisement
ভারতীয় ডাক বিভাগের এই যোজনায় দুই ধরনের মেয়াদপূর্তির সময়কাল রয়েছে। আসলে ভারতীয় ডাক বিভাগের এই যোজনায় ১৫ এবং ২০ বছরের সময়সীমা রয়েছে। ১৫ বছরের পলিসির ক্ষেত্রে ৬, ৯ এবং ১২ বছর পূর্ণ হলে মানি ব্যাকের মাধ্যমে নিশ্চিত রাশির ২০-২০ শতাংশ পাওয়া যায়। অন্য দিকে আবার, ২০ বছরের পলিসির ক্ষেত্রে ৮, ১২ এবং ১৬ বছর পূর্ণ হলে মানি ব্যাক পাওয়া যায়। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ মেয়াদপূর্তির পরে বোনাসের সঙ্গে পাওয়া যায়।
advertisement
৯৫ টাকার বিনিয়োগ করে হয়ে যেতে পারেন লাখপতি:
২৫ বছর বয়সী কোনও ব্যক্তি যদি ৭ লক্ষ টাকা নিশ্চিত রাশির সঙ্গে ২০ বছরের পলিসি বেছে নিয়ে থাকেন, তা-হলে তাঁকে প্রতিদিন ৯৫ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে। অর্থাৎ প্রতি মাসে তাঁকে ২৮৫০ টাকা জমা দিতে হবে। আর ৬ মাসে জমা দেওয়া সেই টাকার পরিমাণ হবে ১৭১০০ টাকা। এখানে মানিব্যাক তো পাওয়া যাবেই, সেই সঙ্গে মেয়াদপূর্তির পর এই টাকার পরিমাণ বেড়ে ১৪ লক্ষ টাকা হয়ে যাবে। এই স্কিমের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল- এই স্কিমে শুধু মৃত্যু হলেই টাকা পাওয়া যায় না। নিশ্চিত পরিমাণ ছাড়াও সময়ে সময়ে এই টাকা বিনিয়োগকারী পেতে পারেন।
advertisement
১৪ লক্ষ টাকা পাওয়ার উপায়:
২০ বছরের পলিসির জন্য বিনিয়োগকারীরা ৮, ১২ এবং ১৬-তম বছরে ১.৪ - ১.৪ লক্ষ টাকা পাবেন। এই ভাবে এই পরিমাণটা হয়ে দাঁড়াবে ৪.২০ লক্ষ টাকা। এর পরে ২০-তম বছরে বিনিয়োগকারীরা ২.৮ লক্ষ টাকা পাবেন। এ-ভাবে বিমা করা টাকা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এর পর বিনিয়োগকারীদের প্রতি ১,০০০ টাকায় ৪৮ টাকা বোনাস হিসাবে দেওয়া হবে। ২০ বছরে এই টাকা ৬.৭২ লক্ষ টাকা হয়ে যাবে অর্থাৎ মেয়াদপূর্তির সময় বিনিয়োগকারীরা ৯.৫২ লক্ষ টাকা পাবেন। মানিব্যাক এবং মেয়াদপূর্তির সময় প্রাপ্ত টাকা একসঙ্গে যোগ করলে তার পরিমাণ দাঁড়াবে ১৩.৭২ লক্ষ টাকা।
advertisement
৬টি ভিন্ন ভিন্ন ইনস্যুরেন্স প্ল্যান:
এই স্কিমে বিনিয়োগকারীদের ৬টি আলাদা ইনস্যুরেন্স প্ল্যান প্রদান করা হয়। এই স্কিমে বিনিয়োগকারীদের ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত অর্থরাশির সুবিধাও দেওয়া হয়। আর এই স্কিমটি তাঁদের জন্য খুবই উপকারী, যাঁদের বারবার টাকার প্রয়োজন হয়। বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা সম্পূর্ণ টাকা মানিব্যাকের মাধ্যমে রিটার্ন দেওয়া হয় এবং একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীরা বিমা কভারেজও পেতে থাকেন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
দৈনিক ১০০ টাকারও কম বিনিয়োগ করে হয়ে যেতে পারেন লাখপতি!
Next Article
advertisement
‘লোকের দু’টো বউ থাকতে পারে, আমার বান্ধবী থাকতে পারে না...? অর্পিতাকে নিয়ে এবার মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
‘লোকের দু’টো বউ থাকতে পারে, আমার বান্ধবী থাকতে পারে না..? অর্পিতা ইস্যুতে মুখ খুললেন পার্থ
  • ‘অর্পিতা আমার বান্ধবী, তাতে অসুবিধার কী আছে...?’

  • অর্পিতা নিয়ে এবার মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

  • অর্পিতাকে নিয়ে ‘রং চড়িয়ে’ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি

VIEW MORE
advertisement
advertisement