সুন্দরবনের কৃষকরা ১০৬ নম্বর প্রজাতির ফুলকপির চারা বসিয়ে লাভবান হচ্ছেন। একদিকে যেমন ভাল ফলন, অন্যদিকে গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি চাষের ক্ষেত্রে ক্ষতির সম্ভাবনা খুবই কম। গ্রীষ্মে উঁচু জমিতে ফুলকপির চাষ করা হয়। চারার গোড়ায় জল দাঁড়িয়ে না গেলে ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে না। সে কারণেই উন্নত নিকাশিযুক্ত জমিতে গ্রীষ্মের ফুলকপি চাষ করা হয়।
advertisement
আমাদের রাজ্যে ৫০ টিরও বেশি প্রজাতির ফুলকপি চাষ করা হয়। তার মধ্যে অন্যতম ১০৬ নম্বর চারা। ফুলকপির ফুল সাদা রাখার জন্য কচি অবস্থায় চারদিক থেকে পাতা টেনে বেধে ফুল ঢেকে দিতে হবে, সূর্যের আলো সরাসরি ফুলে পড়লে ফুলকপির রং হলুদাভ হয়ে যাবে । সার প্রয়োগের পর পরই সারির দু’পাশের মাটি আলগা করে দিতে হবে। জমিতে জল বেশি সময় ধরে যেন জমে না থাকে, তা খেয়াল করতে হবে। গাছ লাগানোর ৭০ থেকে ৮০ দিন পর ফসল সংগ্রহ করা যায়। ঠিকমতো সার প্রয়োগ করে চাষ করতে পারলে বিঘাপ্রতি দুই থেকে তিন টন ফুলকপি পাওয়া যায়।
সুমন সাহা