চার-চাকা কিনতে চাইলে মাহিন্দ্রা বোলেরোর কথা বিবেচনা করাই যায়! দেশে বরাবরই মাহিন্দ্রা কোম্পানির গাড়ির জনপ্রিয়তা রয়েছে। অনেকেই এই কোম্পানির বোলেরো খুব পছন্দ করেন। বোলেরো একটি চমৎকার গাড়ি, তা নিয়ে সন্দেহ নেই, যদিও অনেকেই বলে থাকেন যে ভারতের গ্রামাঞ্চল, পাহাড়ি রাস্তার জন্যই তা আদর্শ। তার মানে এই নয় যে শহরের সড়কে বোলেরো কম চোখে পড়ে। স্টাইলিশ ডিজাইনের জন্য শহর জুড়েও তার রমরমা। আসলে, মাহিন্দ্রা বোলেরো একটি ৭-সিটার সাব-কমপ্যাক্ট এসইউভি। এতে একটি ডিজেল ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে, যা ৫৫.৯ কিলোওয়াট পাওয়ার এবং ২১০ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে।
advertisement
আরও পড়ুন: PF থেকে টাকা তোলা এখন আরও সহজ, অফিসে না গিয়ে এক ক্লিকেই হয়ে যাবে কাজ, নিয়ম বদল করল সরকার
এবার আসা যাক মাহিন্দ্রা বোলেরোর দামের বিষয়ে। মাহিন্দ্রা বোলেরোর দাম শুরু হচ্ছে ৯.৭৯ লক্ষ টাকা থেকে, সর্বোচ্চ তা ১০.৯১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত যায়। মনে রাখতে হবে যে এটি এক্স-শোরুম প্রাইস। আবার, মাহিন্দ্রা বোলেরোর টপ মডেলের অন-রোড প্রাইস ১৩.০৪ লক্ষ টাকা। এই দামের নিরিখে কেউ যদি এই গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে ১.৩০ লক্ষ টাকা ডাউন পেমেন্ট হিসেবে দিতে হবে। এই ডাউন পেমেন্টের পরে যে অঙ্কটা পড়ে থাকে, তা ব্যাঙ্ক থেকে কার লোন হিসেবে পাওয়া যাবে। এই কার লোনে ৯ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।
এই জায়গায় এসে ইএমআই কত হতে পারে, সেই প্রশ্ন ওঠে। এই গাড়ির জন্য যদি কেউ চার বছরের ঋণ নেন, তাহলে প্রতি মাসে ২৯,২০০ টাকা ইএমআই দিতে হবে। যদি এই ঋণ ৫ বছরের জন্য নেওয়া হয়, তাহলে ৯ শতাংশ সুদের হারে, প্রতি মাসে ২৪,৪০০ টাকা ইএমআই দিতে হবে। অন্য দিকে, যদি ৬ বছরের ঋণ নিয়ে মাহিন্দ্রা বোলেরো কেনার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে প্রতি মাসে ২১,২০০ টাকা জমা দিতে হবে। হিসেব থেকে এটা স্পষ্ট যে কার লোন নিয়ে মাহিন্দ্রা বোলেরো কেনার পরিকল্পনা থাকলে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৫০-৭০ হাজার টাকা উপার্জন হলে তবেই এগোনো যাবে।
আরও পড়ুন: সময়ের আগেই হোম লোনের EMI পরিশোধ করুন, বেঁচে যাবে অনেক টাকা, দেখে নিন কীভাবে
তবে হ্যাঁ, কার লোন নিয়ে গাড়ি কিনতে হলে সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেওয়া দরকার এবং ঋণ প্রক্রিয়াটিও সম্পূর্ণরূপে বোঝা দরকার। এর পরে ইএমআই করা উচিত হবে।