সাধারণত কার্ডের মেয়াদ শেষের এক সপ্তাহ বা এক মাস আগেই ব্যাঙ্ক বা ক্রেডিট ইউনিয়ন নতুন ডেবিট কার্ড পাঠিয়ে দেয়। যদি কার্ডের মেয়াদ তার আগেই শেষ হয়ে যায় তাহলে ফোন করে বা ব্যাঙ্কে গিয়ে নতুন ডেবিট কার্ড ইস্যু করাতে হবে।
আরও পড়ুন: অ্যাকাউন্ট পেয়ি ও ক্রস চেকের মধ্যে পার্থক্য কী ? চেক দেওয়ার আগে জেনে নিন
advertisement
মেয়াদোর্ত্তীর্ণ ডেবিট কার্ড কি ব্যবহার করা যায়: না। মেয়াদোর্ত্তীর্ণ ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা যায় না। শুধু তাই নয়, ডেবিট কার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত কোনও স্বয়ংক্রিয় অর্থপ্রদানের ব্যাপার থাকলে আগে বিলিং তথ্য আপডেট করতে হয়। এই কারণেই এসিএইচ চেকের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় অর্থপ্রদানের পরামর্শ দেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। এসিএইচ পেমেন্ট সরাসরি চেকিং অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকে। তাই পেমেন্ট মিস করার ব্যাপারে চিন্তা করতে হয় না।
কেন ডেবিট কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়: সহজ কথায়, ডেবিট কার্ডের মেয়াদ নির্দিষ্ট করে দেওয়ার প্রধান কারণ জালিয়াতি আটকানো। তাই শুধুমাত্র কার্ড নম্বর জানা যথেষ্ট নয়, একজন ভোক্তাকে অবশ্যই কার্ডের নাম, মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এবং সিভিভি নম্বর জানতে হবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখটি ধাঁধার একটি অংশ, যা কার্ডটিকে আরও কিছুটা নিরাপদ করে তোলে।
ডেবিট কার্ডের মেয়াদ কখন শেষ হয়: ইস্যু তারিখের ২ থেকে ৫ বছরের মধ্যে ডেবিট কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। মেয়াদ শেষ হওয়ার মাসের শেষ দিন পর্যন্ত কার্ড সচল থাকে। অর্থাৎ যদি ২০২৩ সালের অগাস্ট মাস পর্যন্ত ডেবিট কার্ডের মেয়াদ থাকে তাহলে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত কার্ডটি ব্যবহার করা যাবে।
নতুন ডেবিট কার্ডে কি পুরনো কার্ডের নম্বর বদলে যায়: নতুন ডেবিট কার্ডের ষোল-সংখ্যার নম্বরটি পুরনো কার্ডের মতোই থাকবে। শুধুমাত্র যে সংখ্যাগুলি পরিবর্তন হবে তা হল মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এবং সিভিভি (কার্ড ভেরিফিকেশন ভ্যালু) নম্বর। তবে ডেবিট কার্ড চুরি হয়ে গেলে সম্পূর্ণ ভিন্ন নম্বর সহ একটি নতুন ডেবিট কার্ড ইস্যু করা হবে।