চাকরি করতে করতে অনেকেরই মাথায় নানা ব্যবসার আইডিয়া ঘুরপাক খায়। কিন্তু সেটাকে বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয় না। কারণ চাকরির নিশ্চিন্ততা ছেড়ে অনিশ্চিত ব্যবসায় ঝাঁপিয়ে পড়ার মতো মনের জোর থাকে না। তাছাড়া রাতারাতি ব্যবসায়ী হওয়াটাও মুখের কথা নয়।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট বানাবেন? কোথাও যেতে হবে না, জানুন অনলাইনে আবেদন করার সহজ উপায়!
advertisement
তাই ধীরে সুস্থে শুরু করাই ভালো। এতে ব্যবসাটা শেখা যাবে। তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা সম্ভব।
আসল কথা হল, কল্পনা বিলাস বন্ধ করে শুরু করতে হবে। তাহলেই ধীরে ধীরে ভয় কেটে যাবে। এখানে ১০-৫টা কাজের পরেও কাজের পরেও অনায়াসে যে সব ব্যবসা করা যায় তার একটা তালিকা এখানে দেওয়া হল।
ব্লগ: কোন ব্যবসাটা ভাল, এই নিয়ে স্পষ্ট ধারণা না থাকলে ব্লগিং শুরু করা যায়। আর যাঁরা লিখতে পছন্দ করেন তাঁদের জন্য তো আদর্শ। যে বিষয় সম্পর্কে সচ্ছ ধারণা এবং সম্যক জ্ঞান আছে, তা দিয়েই ব্লগ শুরু করা যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে, পাঠকরা কোন পোস্টগুলোয় বেশি সাড়া দিচ্ছে। কোন সমস্যাগুলো পাঠাকদের বেশি নাড়া দেয় এবং লেখক হিসেবে কীভাবে সমাধান করা সম্ভব সেটা আয়ত্ত করতে পারলেই কেল্লা ফতে।
আরও পড়ুন: Petrol Diesel Prices : ইউপি-বিহারে সস্তা হল পেট্রোল ও ডিজেল, দেখে নিন কলকাতায় কত হল
স্বেচ্ছাসেবক: অনেকেই ভুরু কুঁচকে ভাবতে পারেন এটা আবার কেমন ব্যবসা? সেচ্ছা শ্রম দিলে সেটা আবার ব্যবসা কী করে হল? তা থেকে তো উপার্জন হচ্ছে না। এটা আসলে ব্যবসা কেমন হবে তার একটা ধারণা নেওয়া। অনেকেই ক্যাটারিং কোম্পানি শুরু করতে চান। কেউ আবার ফটোগ্রাফার হতে চান। এই কাজে নেমে পড়তে হয়। প্রথমে স্বেচ্ছাশ্রম দিলে গোটা ব্যাপারটা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। তারপর সেই অনুযায়ী নিজের কোম্পানি শুরু করা যায়।
নিজের শক্তি চিনতে হবে: নিজের শক্তি এবং দক্ষতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত। একজনের কাছে যা সহজে আসে অন্যের কাছে তা শক্ত হতে পারে। তাই প্রথমে শক্তি এবং দক্ষতার একটা তালিকা করতে হবে। সেই অনুযায়ী নামতে হবে কাজে। নিজেকে কোনও একটি ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাওয়া যায়।