কোচবিহারের এক মৌমাছি প্রতিপালক কৃষ্ণপদ সরকার জানান, ” মৌমাছি প্রতিপালনকে বলে এপিকালচার। আমি বহু সময় ধরে এই মৌমাছি প্রতিপালনের সঙ্গে যুক্ত। শুধু মৌমাছির মধু নয়, মধুর পাশাপশি আরোও বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহ করি। মৌমাছি থেকে মধু ছাড়াও পাওয়া যায় মোম, পোলেন এবং মৌমাছির হুলের বিষ। মোম ব্যবহার করা হয় কসমেটিক্স ও ওষুধ তৈরির কাজে। মৌমাছির পোলেন দারুণ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি খাবার হিসেবে বাজারে বিক্রি হয়। এছাড়া মৌমাছির হুলের বিষ থেকেও নানা ধরনের ওষুধ তৈরি করা হয়।”
advertisement
তিনি আরোও জানান, ” মোম পাওয়া যায় মৌমাছির চাক থেকে। পোলেন হল মৌমাছির গায়ে লেগে থাকা বড় আকারের পরাগ কণা। এর পুষ্টিগুণ বিশাল। এছাড়া ক্ষুদে ভারতীয় মৌমাছির হুলের বিষ থেকে নানা ধরনের ব্যথা উপশমের ওষুধ তৈরি করা হয়। এই সকল উপাদান বেশ ভাল টাকা মুনাফা দেয়। তাই মধুকে শুধু একা গুরত্ব দিলে চলে না। মধুর পাশাপশি এই সকল উপাদান সমান গুরুত্বপূর্ণ মৌমাছি প্রতিপালনের আয়ের ক্ষেত্রে।”
বর্ষার মরশুমে মৌমাছির খাবারের প্রাকৃতিক যোগান কমে যায়। ফুল কম ফোটে, ফলে তখন একটু বিশেষ ভাবে যত্ন নিতে হয় মৌমাছির। তখন আলাদা ভাবে সুগার সিরাপ ও পোলেন দিতে হয় মৌমাছিকে বাঁচিয়ে রাখতে। যদি কোনও ব্যক্তি মৌমাছি প্রতিপালন করতে চান তবে অবশ্যই মৌমাছির সম্পর্কে আগে ভাল করে জেনে নিতে হবে।
Sarthak Pandit