নিশিগঞ্জ চকিয়ারছড়া গ্রামের ইন্দ্রজিৎ সরকার জানান, “প্রায় ১৫ বছর ধরে এভাবেই তিনি জলাশয়ে চাষ করেছেন পানিফল। স্থানীয় বাজার ছাড়াও সেই ফল পাড়ি দিচ্ছে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি-সহ বিভিন্ন ফলের বাজারে। ফলে বেশ অনেকটাই লক্ষ্মীলাভ করছেন তিনি। এই চারা জলাশয়ের নীচে কাদামাটিতে বিশেষ কৌশলে রোপণ করতে হয়। মে মাস থেকেই কাজ শুরু হয়ে যায়। জুন মাসে বৃষ্টির পর জলাশয় ভরে উঠলে তখন হয় চারা রোপণ করতে হয়। আগের বছরের বড় পানিফলগুলো প্রক্রিয়াজাত করে রেখে দিতে হয়। সেই ফল জলাশয়ের নীচে রোপণ করতে হয়।”
advertisement
ইন্দ্রজিৎ সরকার আরও জানান, “এই চাষে বেশ কিছুটা পরিশ্রম হয়। এছাড়া বাজারদর সবসময় অনুকূল থাকে না। তবে মরশুমে ব্যাপক চাহিদা থাকে। তবে তিনি এখনও এই চাষে কোনও সরকারি সাহায্য পাননি। নিশিগঞ্জের চকিয়ারছড়া নদীতে বেশ কয়েকবছর ধরে তিনি এভাবেই চাষ করে আসছেন। এই ফল সাধারণত কাঁচা অবস্থাতেই চিবিয়ে খাওয়া হয়। সবুজ কালচে ও লালের মিশ্রণের এই ফলের পুষ্টি ও ভেষজগুণ অনেকটাই বেশি।”
দীর্ঘ সময় ধরে তিনি যেভাবে এই চাষ করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন। আগামীতে যেন তাঁর মতন করে আরোও অনেক কৃষক লাভবান হতে পারেন সেই জন্য বাকি কৃষকদের এই চাষ করার পরামর্শ দেন তিনি। বর্তমানে তিনি খরচের থেকে প্রায় দ্বিগুনের বেশি টাকা রোজগার করতে পারছেন। আগামী দিনে এই টাকা আরও বেড়ে উঠবে, যদি কৃষি দফতরের সহায়তা তিনি পান। মূলত সেই লক্ষ্যেই তিনি দীর্ঘ সময় ধরে এই চাষ করে আসছেন। যেকোনও অগভীর জলাশয়ের মধ্যে সহজেই এই ফলের চাষ করা সম্ভব। সঠিক উপায় মেনে করলে।
Sarthak Pandit