দিনের পর দিন একেকটি জিনিস এক এক রকম ট্রেন্ড। নিত্য নতুন বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক তৈরি করে স্বনির্ভর হচ্ছেন মেদিনীপুর শহরের এক মহিলা। পোশাকেও রয়েছে বাড়তি চমক। ব্লাউজ তৈরি হচ্ছে চট দিয়ে কিংবা কুর্তি, পাঞ্জাবি, শাড়িতে থাকছে গামছার ছোঁয়া। ভাল দামে বিক্রি হচ্ছে সেগুলো। শুধু তাই নয়, পছন্দমত গামছা দিয়ে কাস্টমাইজ হচ্ছে বিভিন্ন জামা। পুজোর ফ্যাশনেই হোক সামাজিক কোনও অনুষ্ঠানে বরাবরই নতুনত্ব থাকে ছেলে কিংবা মেয়েদের। বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে প্রতিবছর নতুন নতুন ড্রেসের আগমন ঘটে বাজারে। তবে এবার ট্রেন্ডিং পোশাকের মধ্যে একটি গামছা স্টাইলের বিভিন্ন পোশাক।
advertisement
প্রসঙ্গত, জঙ্গলমহলের এক প্রধান পোশাক গামছা। প্রথম পর্যায়ে গামছা ছিল লজ্জা নিবারণের অন্যতম বস্ত্র। পরবর্তীতে গামছার গুরুত্ব ধীরে ধীরে কমতে থাকে। রাঢ় বাংলার সংস্কৃতির অন্যতম এই গামছা। তবে সেই গামছাকে নতুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন এক মহিলা। গামছা দিয়ে তৈরি করছেন নানা পোশাক। দাম রয়েছে সাধ্যের মতে। মহিলাদের বিভিন্ন পোশাক পুরুষের একাধিক আইটেম রয়েছে তার কাছে। বিভিন্ন মেলার পাশাপাশি অনলাইন এবং অফলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করছেন সেগুলো। পাশাপাশি পছন্দ মত বানিয়েও দিচ্ছেন তিনি। তার হাতে তৈরি এই পোশাক যাচ্ছে ভিন রাজ্যেও।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বড় বাজারের বাসিন্দা মধুছন্দা দাস। তিনি নিজের বাড়িতে, নিজের ভাবনা মত কয়েক বছর ধরেই তৈরি করছেন বিভিন্ন পোশাক। নতুন ও মৌলিক সংযোজন হিসেবে রয়েছে গামছা স্টাইলের বিভিন্ন পোশাক। যেমন গামছা কুর্তি, ব্লাউজ, শাড়ি এমনকি মেয়েদের ব্যবহৃত ব্যাগও। এছাড়াও ছেলেদের জন্য রয়েছে কুর্তা, পাঞ্জাবি-সহ একাধিক পোশাক। দাম রয়েছে সাধ্যের মধ্যে। শুধু তাই নয় গ্রাহকদের পছন্দমত কাস্টমাইজ করে দিচ্ছেন গামছা স্টাইলের এই পোশাক। এছাড়াও তিনি তৈরি করছেন জুট দিয়ে মেয়েদের ব্লাউজ। যা বিক্রি হয়েছে বিদেশেও। স্বাভাবিকভাবে নিত্যনতুন ট্রেন্ডিংয়ের জামাকাপড় বানিয়ে স্বনির্ভর এর দিশা দেখাচ্ছেন এই মহিলা। তথাকথিত ঘরানা ছেড়ে নিত্যনতুন ট্রেন্ডিংয়ের ভাবনা দিচ্ছেন মেদিনীপুর শহরের মধুছন্দা দাস।
রঞ্জন চন্দ