তবে টুম্পা যখন ব্যবসা শুরু করেছিল তখন তাকে অনেক বাধা বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়েছে। পরিবারের তরফ থেকেও সেভাবে কোনও সাহায্য পায়নি। তবে সাহায্য না পেলেও সে থেমে থাকেনি। অদম্য জেদ আর ইচ্ছাশক্তির জেরে একাই শুরু করেছিল ব্যবসা। নিজের জমানো মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকা দিয়ে কিনে এনেছিল বেশ কিছু শাড়ি। সেই শাড়ি অল্প লাভে বিক্রি করেই প্রথম ব্যবসা শুরু তাঁর। টুম্পা এই বিষয়ে জানিয়েছে , “সংসারের হাল ধরতে প্রায় ১২ বছর আগে এই ব্যবসা শুরু করেছিলাম। তখন পুঁজি ছিল মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকা। নবদ্বীপ থেকে মাল কিনে এনে সাইকেলে ঝুলিয়ে সেগুলোকে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতাম। এই ব্যবসা করে আমি আগের থেকে অনেক ভাল আছি।”
advertisement
আরও পড়ুন: ছট পুজোয় লাউ ভাত ও ছোলার ডাল খাওয়া হয়! উপকারিতা অবাক করবে! চিকিৎসকের মত জানুন
প্রথমে স্বামীর সঙ্গে তাঁতের কাজ করত টুম্পা। কিন্তু পরবর্তীতে চাহিদা কমতে থাকে তাঁতের। পেশা বদলে টুম্পার স্বামী শুরু করে রাজমিস্ত্রির কাজ। কিন্তু টুম্পা ঠিক করে সে পোশাক বিক্রির ব্যবসা করবে। তারপর থেকেই শুরু হয় ব্যবসা। সাইকেলের মধ্যে পোশাক বেঁধে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করতে শুরু করে টুম্পা। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে বিক্রির পরিমাণ। ব্যবসা বাড়াতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাছ থেকে তাকে ঋণও নিতে হয়েছিল। বাড়তে থাকে ব্যবসা এবং উপার্জন। সাইকেল ছেড়ে টুম্পা এখন স্কুটিতে করে যাতায়াত করে। গ্রাম ছাড়িয়ে যেতে হয় দূর দূরান্তের বিভিন্ন গ্রামে। তবে এখনও সবটাই করতে হয় সংসার সামলানোর পরেই।
টুম্পা এই বিষয়ে আরও জানিয়েছে, “সকাল সকাল উঠে সংসারের সমস্ত কাজ সামলে তারপর আমি স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। দুপুরে বাড়ি এসে আবার বেরিয়ে যায়, তারপর একবারে রাতে বাড়ি ফেরা হয়। “ব্যবসার টাকা থেকেই টুম্পা নিজের বাড়ি করেছে, দোকান খুলেছে, আরও অনেকে উন্নতি করেছে। এখনও একইরকম ভাবেই পরিশ্রম করে ব্যবসা করে টুম্পা। নিজের ব্যবসাকে আরও বড় করার পাশাপাশি, ছেলেমেয়েকে মানুষ করাই এখন টুম্পার একমাত্র উদ্দেশ্য।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী