হ্যাঁ, কালো হলুদের ব্যবসার কথাই হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া জিনিসগুলির মধ্যে এটা অন্যতম। আসলে কালো হলুদের ব্যাপক ঔষধি গুণ রয়েছে। তাই সবসময় চাহিদা থাকে। বাজারে চড়া দামে বিক্রিও হয়। প্রয়োজন শুধু জমির।
আরও পড়ুন-আগামিকাল থেকে পুনরায় চালু হচ্ছে বাগডোগরা বিমানবন্দর, আকাশছোঁয়া ভাড়া বিমানের!
কেমন করে হয় কালো হলুদ: কালো হলুদ গাছের পাতার মাঝখানে একটা কালো ডোরা থাকে। এর ভিতরের অংশ বেগুনি বা কালো রঙের হয়। এই হলুদ চাষ করে কৃষকরা প্রচুর টাকা মুনাফা করতে পারেন।
advertisement
কখন চাষ হয়: কালো হলুদ চাষ হয় জুন মাসে। এর জন্য খুব একটা রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন নেই। তবে বৃষ্টির জল যাতে জমিতে না জমে সেটা খেয়াল রাখতে হবে। এই চাষে সেচেরও প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন হয় না কীটনাশকেরও। ১ হেক্টর জমিতে ২ কুইন্টাল কালো হলুদ বীজ রোপণ করা যায়। তবে জমিতে বীজ বপনের আগে প্রাকৃতিক গোবর সার ব্যবহার করলে ভাল ফলনের সম্ভাবনা বাড়ে।
কালো হলুদ ১/২ মাসের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যায়। হলুদের ক্ষতি না করে সাবধানে মাটি খুঁড়ে বের করতে হয়। তারপর পরিষ্কার করে ছায়া রয়েছে এমন জায়গায় রেখে শুকিয়ে নিতে হবে। ২-৪ সেন্টিমিটার টুকরো করে কেটে শুকিয়ে নেওয়াই ভালো।
আয় কত হবে: এক একর জমিতে বীজ বপন করলে তা থেকে প্রায় ১২-১৫ কুইন্টাল শুকনো হলুদ পাওয়া যায়। সাধারণত কেজি প্রতি ৫০০ টাকায় বিক্রি হয় কালো হলুদ। তবে কখনও কখনও এর দাম কেজি প্রতি ৪০০০ টাকাও ছাড়িয়ে যায়। যদি কেউ ৫০০ টাকা কেজিতে ১৫ কুইন্টাল কালো হলুদও বিক্রি করেন, তাহলে ৭,৫ লাখ টাকা আয় করতে পারেন।
চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে: ভেষজ ওষুধ হিসেবে এটি কাজ করে। পেটের সমস্যা, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার থেকে মুক্তি দেয়, সেই সঙ্গে ত্বকের জেল্লাও বাড়াতে সহায়তা করে। ঔষধি গুণের কারণে করোনা অতিমারীর পর থেকেই কালো হলুদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সাধারণ হলুদ ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও ঔষধি গুণের কারণে কালো হলুদ সহজেই ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হয়। আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথিক ওষুধ তৈরিতেও কালো হলুদ ব্যবহৃত হয়।