TRENDING:

Business Idea: ঘাস তো নয়, যেন 'টাকার গাছ'! বাড়ির আশেপাশে থাকলেই বাড়তি আয়, অর্ডার পাবেন ভিন রাজ্য থেকেও

Last Updated:

এই ছোট্ট ঘাসই অনেক পরিবারের কাছে হয়ে ওঠে জীবনের রুটি-রুজির ভরসা। এই ঘাস সংগ্রহ করে এখানকার মানুষদের মতো অনেকেই চাইলে ব্যবসা, রোজগারের নতুন দিশা দেখতে পারেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বেলপাহাড়ি, ঝাড়গ্রাম, তন্ময় নন্দী‌: উৎসব মানেই আনন্দ, উৎসব মানেই ব্যস্ততা। দুর্গাপুজো যত ঘনিয়ে আসে, ততই উৎসবের আবহ ছড়িয়ে পড়ে গ্রামীণ জনপদে। তবে এই আবহ শুধু আনন্দের নয়, অনেকের কাছে তা জীবিকা নির্বাহেরও মাধ্যম। পুজোর মরশুম যত এগিয়ে আসে, ততই ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি ও তার আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় বেড়ে যায় এক বিশেষ ঘাসের চাহিদা থাকে বাবুই ঘাসের। বাবুই থেকেই তৈরি হয় শক্তপোক্ত ও টেকসই বাবুই দড়ি। গ্রামীণ জীবন থেকে শুরু করে শহরের নানা কাজে এই দড়ির ব্যবহার অপরিহার্য। বিশেষ করে দুর্গাপুজোর আগে প্যান্ডেল বাঁধা, আলোকসজ্জার খুঁটি টাঙানো, মূর্তি স্থাপন কিংবা অন্যান্য কাজের জন্য এই দড়ির বিকল্প নেই। ফলে এ সময়ে বাবুই ঘাস ও বাবুই দড়ির চাহিদা আকাশছোঁয়া হয়।
advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরের মতো এ বছরও ওড়িশার বিভিন্ন বাজারে দড়ির অর্ডার এসেছে। তবে এবারের অর্ডারের পরিমাণ অন্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ফলে বাবুই ঘাস কাটার ধুম পড়েছে গ্রামে গ্রামে। মাঠে নেমে সকলে জোরকদমে ঘাস কাটছেন, শুকোচ্ছেন আর তারপর দড়ি বানানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। অঞ্চলের অনেক মানুষ জানিয়েছেন, কৃষিকাজ বা অন্যান্য শ্রমে আর্থিক লাভ না হওয়ায় তাঁরা এখন বাবুই দড়ি তৈরিকে জীবিকার প্রধান ভরসা বানিয়েছেন। এই শিল্পে তেমন পুঁজি লাগে না, কিন্তু চাহিদা বেশি থাকায় আয় তুলনায় ভাল। ফলে গ্রামের বহু গৃহস্থালি এখন বাবুই দড়ির ওপর নির্ভর করছে।

advertisement

আরও পড়ুন: পুজোয় শান্তিনিকেতন ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান? দেরি না করে এখনই গুছিয়ে ফেলুন ব্যাগ, অপেক্ষা করছে বাড়তি ‘আনন্দ’

ঝাড়গ্রামের ওদোলচুয়া গ্রামের বাসিন্দা সাহেব মাহাত বলেন, “আগে শুধু চাষের কাজ করতাম। কিন্তু চাষে খরচ বেশি, লাভ কম। এখন বাবুই ঘাস কেটে দড়ি বানিয়ে হাটে বিক্রি করছি। এই সময়ে ভাল দাম পাওয়া যায়, সংসারের খরচ মেটাতে সুবিধে হচ্ছে।” একইসঙ্গে মহিলারাও সমানভাবে যুক্ত হচ্ছেন এই কাজে। অনেক পরিবারই এখন বাবুই দড়ি তৈরিকে বাড়তি আয়ের পথ হিসেবে নিয়েছেন। ফলে পরিবারের হাতে বাড়তি টাকা আসছে, যা উৎসবের মরশুমে খরচের চাপ সামলাতে সাহায্য করছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবছরের মতো এ বছরও ওড়িশা থেকে বিপুল পরিমাণ অর্ডার এসেছে। হাটে দড়ির চাহিদা এতটাই বেশি যে অনেক সময় সরবরাহ মেটানো কঠিন হয়ে পড়ছে। চাহিদা বেশি থাকায় বাজারদরও তুলনায় ভাল, যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে কিছুটা হলেও চাঙ্গা করেছে। আশার আলো দেখাচ্ছে বাবুই শিল্প। পুজোর মরশুমকে ঘিরে এই বাড়তি চাহিদাই এখন বহু গরিব পরিবারের কাছে আশার আলো হয়ে উঠেছে।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

উৎসবের আনন্দ যেমন মানুষকে একত্র করছে, তেমনই বাবুই ঘাস ও দড়ির এই শিল্প গ্রামীণ কর্মসংস্থানে নতুন দিশা দেখাচ্ছে। বেলপাহাড়ি ও তার আশপাশের জনপদে প্রায় প্রতিটি গ্রামেই বাবুই ঘাসের কাজ চলছে জোরকদমে। ফলে অস্থায়ী হলেও অনেক মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন। এতে একদিকে যেমন গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি এসেছে, অন্যদিকে দরিদ্র মানুষের মুখে হাসিও ফুটেছে। দুর্গাপুজোর আবহ শুধুমাত্র ধর্মীয় উৎসবের আনন্দই নয়, তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে হাজারও মানুষের জীবিকার গল্প। বাবুই ঘাস ও বাবুই দড়ির শিল্প সেই গল্পেরই এক অনন্য অধ্যায়। উৎসবের আবহে যখন আলো, সাজসজ্জা ও আনন্দে ভরে ওঠে চারপাশ, তখন এই ছোট্ট ঘাসই অনেক পরিবারের কাছে হয়ে ওঠে জীবনের রুটি-রুজির ভরসা। এই ঘাস সংগ্রহ করে এখানকার মানুষদের মতো অনেকেই চাইলে ব্যবসা, রোজগারের নতুন দিশা দেখতে পারেন।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Business Idea: ঘাস তো নয়, যেন 'টাকার গাছ'! বাড়ির আশেপাশে থাকলেই বাড়তি আয়, অর্ডার পাবেন ভিন রাজ্য থেকেও
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল