হলদিয়া শহরের ক্ষুদিরাম নগর এলাকার গৃহবধূ পিংকি মান্না দাস। স্বামী বেসরকারি সংস্থার মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। এক মেয়েকে নিয়ে সংসার। সংসারের দৈনন্দিন কাজের পর। নিজের ভাল লাগায় নানা কিছু তৈরি করেন যার নিত্য প্রয়োজনে কাজে লাগে। তার মধ্যে অন্যতম হল ফুলের নির্যাস থেকে সাবান তৈরি করা। পিংকির এই আইডিয়া শুধুমাত্র পরিবেশ দূষণকে রোধ করা নয় সেই সঙ্গে রয়েছে ব্যবসায়িক দিক। কারণ বর্তমান সময়ে হার্বাল জিনিসের চাহিদা বাড়ছে। ফুলের নির্যাস থেকে সাবান তৈরি করাটা খুব সহজ পদ্ধতি। ফলে যে কেউ এই কাজ করতে পারে এমনটাই জানান ওই পিংকি মান্না দাস।
advertisement
আরও পড়ুন: বেড়ে গেল ধানের সরকারি সহায়ক মূল্য, বিক্রির পদ্ধতিতেও নতুনত্ব! বিক্রির আগে খুশির হাওয়া কৃষকমহলে
তিনি বলেন, “পুজোর পর এই ফুলগুলো পুকুরে কিংবা নদীতে ফেলে দেওয়া হয় আর যেটা পচে মিথেন গ্যাস তৈরি হয় যা পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী ও জলকে দূষিতে করে যা থেকে মশা, মাছি, পোকা জন্ম নেয়। এই ফুল, দূর্বা, তুলসী, বেলপাতা না ফেলে আমরা প্রাকিতিক ভাবে সাবান বানানোর কাজে ব্যবহার করতে পরি। আমরা বাজারের যে সাবান ব্যবহার করি তাতে এসএলএস, পারাবিনের মতো অনেক রকম রসায়ন থাকে। এছাড়াও নিম্নমানের তেল ব্যবহারে করা হয় যা ত্বককে শুষ্ক করে, ফলে চামড়া কুচকে যায়। ফেলে দেওয়া ফুল যাতে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, ফলে ত্বকের পুষ্টির জন্য দারুণ কার্যকর।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পিংকি দাস মান্না প্রথমে মন্দির থেকে ফুল সংগ্রহ করেন, তারপর সেই ফুল ডেটল জল দিয়ে ভাল করে পরিষ্কার করে নেন। এরপর ফুলকে মিক্সার গ্রাইন্ডার দিয়ে নির্যাস বের করে নেন। তার সঙ্গে চালের গুঁড়ো, মুলতানি মাটি, সোপ বার মিশিয়ে তৈরি করছেন সাবান। পদ্ধতিটা অনেকটাই সহজ। তার কথায় যে কোনও মানুষ এটা করতে পারবেন।
পিংকি মান্না দাসের তৈরি করা এই হারবাল সাবান বর্তমানে নিচ্ছেন অনেকেই। পরিচিতিজনরা ছাড়াও বিদেশে কর্মরত রয়েছেন, তারাও পিংকির হারবাল সাবানের অর্ডার করেন। সেইমতো সাবান বানিয়ে তাদের পাঠিয়ে দেন পিংকি। পিংকির এই ফুলের নির্যাস থেকে সাবান তৈরি শুধুমাত্র পরিবেশ দূষণ না সাধারণ মানুষের ত্বকের ক্ষেত্রে উপকারী, আবার একটি রোজগারের মাধ্যমও হয়ে উঠছে।





