এখন প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গা থেকে কেকের অর্ডার আসছে অনিতার কাছে। ট্রেন্ডিং ডিজাইন থেকে শুরু করে সাধারণ কেক—সব ক্ষেত্রেই এক্সপার্ট তিনি। নিজের হাতে সাজিয়ে দেন কেকের উপর নানা আকর্ষণীয় ডিজাইন। কিভাবে বিভিন্ন ধরনের ফলের রস দিয়ে কেক বানান যায় আবার কিভাবে নতুন ধরনের ট্রেন্ডিং কেক তৈরি করা যায়—এসব নিয়ে প্রতিদিনই নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করেন অনিতা। তার তৈরি রসমালাই কেক, নলেন গুড় কেক, চকলেট ট্রাফল কেক এখন এলাকায় দারুণ জনপ্রিয়। এখন এগরা ছাড়িয়ে কাঁথি, পটাশপুর, ভগবানপুর-সহ জেলাজুড়ে বিভিন্ন জায়গা থেকেও অর্ডার আসে। মাত্র ৩০০ টাকা থেকেই কেক পাওয়া যায় তার কাছে।
advertisement
শুধু কেক বানানোতেই থেমে থাকেননি অনিতা। এখন তিনি বাড়িতেই কেক বানানোর ক্লাস চালু করেছেন। এলাকার অনেক মেয়ে তার কাছে কেক বানান শিখছেন। কেউ শখের জন্য আবার কেউ ভবিষ্যতে আয়ের পথ তৈরি করার জন্য এই ক্লাস করছেন। অনিতার মতে, বাড়িতে বসে অল্প বিনিয়োগে এটি মেয়েদের জন্য রোজগারের একটি সহজ পথ। প্রতিটি ক্লাসেই তিনি শেখান কেকের বেস তৈরি, ফ্লেভার মেশানো, ক্রিম হুইপিং, ডিজাইনিং, ট্রেন্ডিং কেক সাজান এবং কেক ডেলিভারি পর্যন্ত। অনেকেই ইতিমধ্যে তার কাছ থেকে শিখে নিজেদের বাড়িতে কেক বানানোর কাজ শুরু করেছেন।
মাসে প্রায় ২০ হাজার টাকা রোজগার করেন অনিতা বেগম। তার কেক এখন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যায়। পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা বাড়াতে সাহায্য করেছে তার এই উদ্যোগ। আজ তিনি এলাকায় একজন স্বনির্ভর নারী হিসেবে পরিচিত। অনিতা প্রমাণ করেছেন—নারীরা বাড়িতে বসেই সহজভাবে উপার্জন করতে পারেন। শুধু প্রয়োজন নিজের সুপ্ত প্রতিভাকে কাজে লাগানো। তার গল্প আজ অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা। অনিতার স্বপ্ন একদিন নিজের কেকের ব্র্যান্ডিং তৈরি করা।





