তাই বাদাম তুলে নেওয়ার পর ওই জমিগুলিতে আলু-সহ নানা শাকসবজির চাষাবাদ বেশ ভাল হচ্ছে। দুর্গাপুরের কাঁকসা এলাকার কৃষকদের দাবি, চিনা বাদাম চাষে কম খরচে ভাল আয় করা সম্ভব। ধানের মতো প্রচলিত ফসলের তুলনায় চিনা বাদাম চাষে কম খরচে বেশি লাভ করা সম্ভব হচ্ছে। বাজারে চিনা বাদামের ভাল চাহিদা থাকায় সঠিক ফলন হলে চাষে বিনিয়োজিত অর্থ তিন চার মাসের মধ্যেই তিনগুণ বেড়ে যায় এবং সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করলে ভাল ফলনও পাওয়া যায়।
advertisement
গম, তিল, অড়হর এবং আউশ ধানের সঙ্গে ‘সাথী ফসল’ হিসেবে চাষ করার যায় চিনা বাদাম। এছাড়াও রবি ও খরিফ উভয় মরশুমেই চাষ হচ্ছে। আশ্বিন মাসের মাঝামাঝি থেকে কার্তিক মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত রবি মরশুম এবং খরিফ মরশুম অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাদাম চাষ করছেন পশ্চিম বর্ধমানের এই এলাকার কৃষকরা।মুবারক গঞ্জের কৃষ্ণক বাপি রুইদাস জানান, তিনি চলতি মরশুমে দু’বিঘা জমিতে চিনা বাদাম চাষ করেছেন। এখন জমি থেকে ফসল তুলতে শুরু করেছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ধান আবাদ করে লাভ তো দূরের কথা খরচের টাকা তুলতেই হিমশিম খেতে হয়। তাই তিনি সহ ওই এলাকার অধিকাংশ কৃষক বাদাম চাষ করেন। প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে চাষ হচ্ছে ওই এলাকায়। এছাড়াও কাঁকসা ও গলসি ব্লকে শতাধিক কৃষক বাদাম চাষ করেন। দাম ও ফলন দুটোই ভাল হওয়ায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার কৃষকরা বাদাম চাষে বিশেষ করে আগ্রহী হচ্ছেন। এতে কৃষকদের পাশাপাশি এলাকার মহিলাদের মুখেও হাসি ফুটছে।





