স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এই পণ্যটির চাহিদা সবসময় থাকে এবং ভাল দামও পাওয়া যায়। আমরা শুকনো ফল কাজুর সম্পর্কে বলছি। এটি সব বয়সের মানুষই খেয়ে থাকেন এবং শুধু শহরেই নয়, গ্রামেও এর চাহিদা রয়েছে। অর্থকরী ফসল হিসেবে কাজু চাষ করা হয়। সরকারও এই ধরনের ফসল চাষ করার বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করছে। এই ধরনের ফসল বা পণ্য থেকে কৃষকরা ভাল লাভ করতে পারেন।
advertisement
কাজুর চাষ কীভাবে করতে হবে?
যেসব জায়গায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের কাছাকাছি থাকে সেসব জায়গায় কাজু চাষ ভালো হয়। যদিও এই ফসল যে কোনও মাটিতে চাষ করা যায়, তবে লাল এবং ল্যাটেরাইট মাটি কাজু চাষের জন্য সেরা বলে মনে করা হয়। কাজু চাষের জন্য প্রথমে ক্ষেত তির্যকভাবে লাঙ্গল করতে হয়। এর পরে, জমিতে প্রতিটি গাছের মধ্যে প্রায় ৪ মিটার দূরত্ব রেখে এগুলো রোপণ করতে হয়। এক হেক্টর জমিতে প্রায় ৫০০ চারা রোপণ করা যায়। বর্ষাকালে এই ফসল রোপণ করা ভাল, কারণ তখন বৃষ্টির জল তাদের জন্য যথেষ্ট হয় এবং সেচের প্রয়োজন হয় না। ভাল ফলনের জন্য গাছকে ঠান্ডা ও আর্দ্রতা থেকে রক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুন-অর্জুনের বিজেপি ত্যাগ কি ব্যারাকপুরে বিপাকে ফেলবে বিজেপিকে?
কাজু চাষে কত টাকা আয় হতে পারে?
মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, গোয়া, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলিতে এর সর্বাধিক চাষ করা হয়। এই গাছের দৈর্ঘ্য ১৪-১৫ মিটার হয় এবং এই গাছে ২-৩ বছরের মধ্যে ফলন শুরু হয়ে যায়। কাজু শুধু খেতেই উপকারী নয়, এর খোসা থেকে রঙও তৈরি করা হয়। একটি গাছ থেকে ২০ কেজি কাজুবাদাম পাওয়া যায়। প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় ৫০০টি গাছ থাকলে, হেক্টর প্রতি ১০ টন কাজু পাওয়া যেতে পারে। বর্তমানে বাজারে কাজুর দাম কেজি প্রতি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। বড় পরিসরে কাজুর চাষ করলে কোটি কোটি টাকা আয় করা সম্ভব।