ভিন রাজ্যের নামিদামি আচার কোম্পানিতে ব্যাপক চাহিদা এই কুচি আমের। এক গাড়ি ভর্তি রফতানি করলেই লাভ বেরিয়ে আসে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা। মাসে প্রায় চার থেকে পাঁচটি গাড়ি ভরে কুচি আমগুলো রফতানি করে ব্যাপক টাকা আয় করে রোজগারের পথ দেখাচ্ছেন মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের অমৃতি এলাকার বাসিন্দা হযরত মোমিন। পাশাপাশি তার আড়তে আম কুচি করার কাজ করে রোজগার করছেন গ্রামের শতাধিক মহিলা-পুরুষ।
advertisement
আরও পড়ুন: গভীর ক্ষত থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধে অব্যর্থ! এই পাতার চাষ করলেই আয় করতে পারবেন লাখ লাখ টাকা
কুচি আম রফতানিকারক হযরত মোমিন জানান, “ঝড় বৃষ্টিতে বাগানে কুড়ানো কাঁচা আমগুলো কিনে নিয়ে বিভিন্নভাবে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। আম কুচি কুচি করে একটি গর্তের মধ্যে ঢেলে রেখে নিয়মিত লবণ দেওয়া হয়। এরপর প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন হলে কলকাতা সহ ভিন রাজ্য মুম্বাই, দিল্লি, গুজরাটের একাধিক আচার কোম্পানিতে রফতানি করা হয়।”
আরও পড়ুন: একটি নয়, দুটি নয়, ৫ টাকায় তিনটি সিঙারা! জলের দরে দিয়েও রোজ ১২০০ টাকা আয় এই ব্যবসায়ীর
জেলা উদ্যান পালন আধিকারিক সামন্ত লায়েক জানান, “এই আমের কুচির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ভিন রাজ্যে। গাছ থেকে ঝরে যাওয়া ছোট বড় আম কুচি করে গর্তের মধ্যে মজুদ রেখে একাধিক ভাবে প্রক্রিয়াকরণের পর ভিন রাজ্যে রফতানি করা হয়। তবে ইতিমধ্যে জেলাতে আচার তৈরীর একাধিক ইউনিট তৈরি হয়েছে। যেখানে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে আচার তৈরি করা হয়। যান্ত্রিক পদ্ধতিতে আচার প্রক্রিয়াকরণ হলে স্বাস্থ্যকর দিক থেকে আরও বেশি চাহিদা বাড়বে এই আমের কুচির।
মালদহ জেলার অধিকাংশ অর্থনীতি নির্ভরশীল আম চাষের উপর। তবে আম উন্নত মানের পর্যায়ে প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে আজও অনেকটাই পিছিয়ে মালদহ জেলা। রাজ্যের অধিকাংশ পরিমাণে আমের চাষ হয়ে থাকে এই জেলায়। তবে বেশি লাভের আশায় আজও জেলার অধিকাংশ পরিমাণ আম রফতানি করতে হয় ভিন রাজ্যে।
জিএম মোমিন





