বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২২-২৩ বর্ষের বাজেটেও একই ধারা অব্যাহত থাকবে। দেশের পরিকাঠামো উন্নয়নের বরাদ্দের অঙ্কে বৃদ্ধি দেখা যেতে পারে যা নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করার পাশাপাশি অর্থনীতিকে মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
অর্থমন্ত্রী সীতারামন, তবে এবারের বাজেটে আর কাদের ভূমিকা উল্লেখ না করলেই নয়?
ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার পাইপলাইন (NIP) এবং গতি শক্তির (Gati Shakti)-এর অধীনে থাকা প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নের জন্য নতুন পরিকল্পনা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে এনআইপি –এর অধীনে থাকা প্রায় ৫০ শতাংশ প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে এবং ৫ শতাংশের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।
advertisement
বিসিজি (BCG) কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিনিয়র পার্টনার সুরেশ সুবুদ্ধি (Suresh Subudhi) এবং সিনিয়র নলেজ অ্যানালিস্ট ইয়াশি টন্ডন (Yashi Tandon) জানিয়েছেন, “ভারত জলবায়ু পরিবর্তনকে মাথায় রেখে দেশকে পরিকাঠামোগত দিক থেকে উন্নত করার জন্য কী কী পরিকল্পনা করেছে তা ঘোষণা করার সবচেয়ে উপযুক্ত মঞ্চ আসন্ন বাজেট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ একাধিক দেশ জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে পরিকল্পনার পাশাপাশি তাদের পরিকাঠামো বাজেটে অতিরিক্ত বরাদ্দ করেছে।“
অন্যদিকে, জে সাগর অ্যাসোসিয়েট (J Sagar Associates) কোম্পানির জয়েন্ট ম্যানেজিং পার্টনার অমিত কাপুর (Amit Kapur) এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার পাইপলাইনের মাধ্যমে পরিকাঠামোর জন্য বিনিয়োগ এবং নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে সুস্পষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
আরও পড়ুন : আইটি সেক্টরের ৫টি চাহিদা, এবারের বাজেটে কি মিটতে চলেছে?
কাপুরের মতে এই পরিকল্পনায় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি থাকা উচিত-
১। দেশের পারচেসিং পাওয়ার প্যারিটি (PPP) পুনরুজ্জীবিত করার উদেশ্যে কেলকার কমিটির (Kelkar Committee) সুপারিশকে কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত করে একটি সুবিধাজনক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
শক্তিশালী বিড প্রক্রিয়া, ন্যায্য চুক্তি প্রক্রিয়া এবং চুক্তি ব্যবস্থাপনার জন্য 3PI প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
২। IRDA, PFRDA, সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের মাধ্যমে বিনিয়োগের বিধিনিষেধ শিথিল করে পরিকাঠামোগত সম্পদের জন্য সস্তা ও দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন সুরক্ষিত করতে হবে। পাশাপাশি ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ফর ফিনান্সিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টকে অর্থায়নের মাধ্যমে শক্তিশালী করে বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা করতে হবে।